প্রকাশিত: 12/11/2019
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত ।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া কসবার মন্দবাগ এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত ২ টা ৫০ মিনিটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অধিক । ট্রেনটি চট্রগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথি ও সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস এই দুইটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে ঘটনাটি ঘটে । এ সময় একটি ট্রেনের একাধিক বগি আরেকটি ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এখন পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সিগন্যাল (সংকেত) অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য এই সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতে তূর্ণা নিশীথার একাধিক বগি ওই ট্রেনের কয়েকটি বগির ওপর উঠে যায়। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। নিহত ১৫ জন সবাই উদয়নের যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমনকি ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে নয়টি লাশ রয়েছে। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ রয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দুটি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত কারও পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।