প্রকাশিত: 16/04/2021
করোনায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’তে রেখেই হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিটি স্ক্যান পরীক্ষার চিকিৎসক তার দলের সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।
সিটি স্ক্যানের জন্য রাত সোয়া ৯টার দিকে খালেদা জিয়াকে একটি প্রাইভেটকারে করে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যান শেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে আবার তার বাসভবন ফিরোজায় আনা হয়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার পরীক্ষার প্রতিবেদন অনেক ভালো। সাময়িক প্রতিবেদনে ‘ফাইন্ডিংস’ আছে। এখন খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বাসায় রেখেই দেওয়া হবে। তার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আগামীকাল (আজ) শুক্রবার হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া শঙ্কামুক্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার সপ্তম দিনে শঙ্কামুক্ত বলার সময় আসেনি। ১২ থেকে ১৪ দিনে তা বলা যায়।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখা হবে। কারণ করোনায় কালকে কী হবে, তার পরের দিন কী হবে বলা কঠিন। ১৪ দিন পর্যন্ত ক্লোজ মনিটরিংয়ে রাখা হবে। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া আছে। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
তবে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা যেটা পাওয়া গেছে তা ৫ শতাংশেরও কম, যা অত্যন্ত সন্তোষজনক।
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, বিএনপির বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ডা. আল মামুন, একজন নার্স ও গৃহপরিচারিকা ফাতেমা।