১০ বছর পর কমিটি গঠনের খবরে প্রান ফিরে পেয়েছে শার্শা উপজেলা বিএনপি

১০ বছর পর কমিটি গঠনের খবরে প্রান ফিরে পেয়েছে শার্শা উপজেলা বিএনপি

দীর্ঘ ১০বছর পর যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপি’র কমিটি গঠনের খবরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি শীর্ষ দুই পদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক তৎপরতা শুরু হয়েছে।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা নিজেকে ত্যাগী, যোগ্য ও দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটাভুটির মাধ্যমে উপজেলা কমিটি গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন।

‘চাপিয়ে’ দেওয়া কমিটি তারা স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। সেক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের সৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। ভোটাভুটির মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি রয়েছে পদপ্রত্যাশী বেশিরভাগ নেতারও।

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শার্শা উপজেলা বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে জরেশরে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্চেন।একটি পক্ষের নের্তৃত্বে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক গত নির্বাচনের ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত প্রাথী

মফিকুল হাসান তৃপ্তি ও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তরফদার অপর পক্ষের নের্তৃত্বে উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু ও সাধারন সম্পাদক হাসান জহির।


তৃপ্তি গ্রুপের সদস্য সচিব প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম তরফদার বলেন, আগামীতে শার্শা উপজেলা বিএনপির যে আহবায়ক কমিটি গঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে আমাদের নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তির প্রতি থানা বিএনপির ৮০ ভাগ নেতার সমার্থন রয়েছে।

ভোটারদের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন বিগত নির্বাচনে আমাদের নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তির বিপক্ষে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের পক্ষে একটি পক্ষ সরাসরি কাজ করেছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। সে ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বর্তমান নেতৃর্ত্ব উপজেলা বিএনপিকে ধংস করে দিয়েছে।এদের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে হলে তৃপ্তি সাহেবের বিকল্প নেই।

জানতে চাইলে কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমি ধারণা থেকে বলতে পারি, ভোটাভুটি হবে না। তবে সুন্দর একটি কমিটি পেতে চাইলে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতেই করা উচিত। আমিও ব্যক্তিগতভাবে ভোট চাই।’


উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি - গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হজরত আলী মাষ্টার বলেন, ‘কমিটি ভোটের মাধ্যমে হওয়া দরকার। আমি চাই গণতান্ত্রিক পন্থায় উপজেলা বিএনপির কমিটি করা হোক।’

সুত্রে জানাগেছে উপজেলা বিএনপির বর্তমান ৭১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। এই কমিটির ১২ জন সদস্য ইতোমধ্যেই মারা গেছেন । তারা হলেন সহ-সভাপতি দুইজন মোশারফ হোসেন ও আবু সিদ্দিক মন্ডল,

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দুইজন মহরম আলী ও ডা. রেজাউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, অর্থ- সম্পাদক বজলুর রহমান, বৃক্ষ রোপন বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ হোসেন, তাঁতী শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মশিয়ার রহমান, সদস্য তিনজন বেলায়েত হোসেন,

ইসমাইল হোসেন ও আমজাদ আলী। কমিটি গঠনে শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বিএনপির সকল নেতা-কর্মীর মধ্যে বইছে খুশির আমেজ। সরব হয়ে উঠেছেন নেতা কর্মীরা।
 

আরও পড়ুন

×