প্রকাশিত: 30/11/2019
এবার ধর্মঘাট করছে নৌযান শ্রমিকরা, তাদের ১১ দফা দাবিতে ।
শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু করার পর থেকে রাজধানীর সাথে দক্ষিণা দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১২ নভেম্বর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ধর্মঘটের আলটিমেটাম দেয় নৌ-শ্রমিক, কর্মচারীদের সংগঠনগুলো। গত বুধবার মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে দাবি পূরণের 'আশ্বাস না পেয়ে'
শুক্রবার বিকেলে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সংগঠনগুলো।শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। লঞ্চ মালিকপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করেনি। গত বুধবারের বৈঠক থেকেও তারা সুস্পষ্ট আশ্বাস পাননি। তাই শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন তারা।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে নৌ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শ্রমিকদের খোরাকির দাবিও নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে আগামী মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সদস্য হাম জালাল বলেন, শ্রমিকদের মূল দাবিগুলো মেনে নিয়ে লঞ্চ মালিকরা ২০১৬ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছিলেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ধর্মঘট অযৌক্তিক।
তবে শ্রমিক ফেডারেশনের শাহ আলমের দাবি, তাদের ১৫ দফা দাবি পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু গত তিন বছরে বেতন স্কেল ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা ছাড়া বাকি ১৪ দাবি পূরণ করা হয়নি।
নিয়োগপত্র ও খোরাকি ছাড়াও শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করা, মাস্টারশিপ পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধ করা, নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের 'হয়রানি' বন্ধ করা। এসব দাবিতে গত জুলাইয়েও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এবং জাহাজী শ্রমিক ।