প্রকাশিত: 04/12/2019
বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে ২০ বছর বয়সে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি -বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান এমপি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট নির্বাহী কমিটির ট্রাস্টি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু’র ডাকে বাঙালী যুদ্ধে অংশ নেন।
আমারও সৌভাগ্য হয়েছিল মাত্র ২০ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার। বঙ্গবন্ধু জনগণের বিশ্বাস অক্ষুণ রেখেছেন বলেই, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সকল মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ’র প্রতিধ্বনি ‘জয় বাংলা’ বলেই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। যুদ্ধে নিহত অনেক বাঙালি মৃত্যুক্ষণে জয় বাংলা বলেই মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশনেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করেই চলেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতায় না আসতো তাহলে দেশ ও দেশের মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন বলেই মুক্তিযোদ্ধারা আজ এতো সম্মানিত।
তিনি ক্ষমতায় এসে দেশের অভাব ঘুচিয়ে শহর-গ্রামকে এক করে ফেলেছেন। গতকাল বুধবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরিউক্ত কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন চত্বরে আয়োজিত ৪৯তম ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোছাদ্দেক হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট নির্বাহী কমিটির ট্রাস্টি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন, ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিষ বিন হাছান, জেলা পরিষদের সদস্য মো. কামরুজ্জামান শাহ কামরু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হায়দার আলী শাহ, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল, বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. রুহুল আমিন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিদুজ্জামান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস ছামাদ প্রমুখ। শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে ব্যাগ তুলে দেন অতিথিদ্বয়