প্রকাশিত: 12/01/2020
আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, যেখানে জনগণের ভোটের সরকার থাকে না, সেখানে দুর্বৃত্তদেরই জয়জয়কার থাকে ।
আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যে, ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ থেকে এখনই সরে আসুন, অন্যথায় পদত্যাগ করুন । তা না হলে জনগন আপনাদের মাস্টার প্লানের নির্বাচনের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দিবে ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের বংশধররা ছাড়া দেশের নিবন্ধিত প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও জনগনেকে ভোটাধিকার বঞ্চিত ও অর্থ হরিলুটের জন্য ইভিএম দিয়ে ভোট করতে অস্থির হয়ে উঠেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ।
শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ইসির টেকনিক্যাল কমিটি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনসমূহ, দেশের সচেতন মহল ও একজন নির্বাচন কমিশনারের বর্তমান ইভিএম ব্যবহারে বিরোধিতা থাকলেও সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন তা আমলে নেয়নি।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আড়াই হাজারের মতো। ভোটকক্ষ প্রায় ১৪ হাজার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
অতিরিক্ত ২১ হাজার ইভিএম কোথায় ব্যবহার করা হবে ? অতিরিক্ত ইভিএম প্রস্তুত রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনের আগেই ফলাফল তৈরি করা । এছাড়া ইভিএমে জালিয়াতি যে সম্ভব, এটি পৃথিবীর দেশে দেশে প্রমাণিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ ।