প্রকাশিত: 24/03/2020
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে আজ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নামানো হচ্ছে।
সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৬শে মার্চ থেকে পরবর্তী ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬, ২৭ ও ২৮শে মার্চ সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি। ২৯শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল সাধারণ ছুটি থাকবে।ই সময়ে ওষুধ ও খাবারের দোকান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জরুরি সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এই সময়ে বিভিন্ন অফিস-আদালতের প্রয়োজনীয় কাজ অনলাইনে সম্পাদন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে, তারা অফিস খোলা রাখবে। ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এসময় মন্ত্রী পরিষদের সচিব আরো জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের কোনো ব্যক্তি শহরে জীবনযাপন অক্ষম হলে সরকার তাকে ‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’র অধীনে নিজ ঘরে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে জানান।
পোশাক তৈরির কারখানাগুলোর ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, এক্ষেত্রে কারখানা মালিকরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।আমাদের যারা হেলথ প্রফেশনাল আছে তাদের সঙ্গেও আলাপ হয়েছিল, গার্মেন্টে যারা কাজ করে, সেটা আমরা ক্লোজ মনিটরে রেখেছি।