সারাদেশে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা সরকারি ত্রাণ লুট করছে : রিজভী

প্রকাশিত: 06/04/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

সারাদেশে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা সরকারি ত্রাণ লুট করছে : রিজভী

আজ সোমবার সকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সের বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, চলমান করোনাভাইরাস সঙ্কটে সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল সারাদেশে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা লুট করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, গরীব মানুষের মধ্যে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে। ত্রাণের চাল চুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা থাকলেও থেমে নেই অপকর্ম।

প্রতিদিনি সংবাদপত্রে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল চুরি ও লুটপাটের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কারো কারো গুদামে অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ভিজিডির চাল, ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হচ্ছে। এতদিন হয়েছিল সরাসরি টাকা লোপাট, এখন হচ্ছে রিলিফ লোপাট।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের বর্তমান সঙ্কট মানুষের বাঁচা-মরার সাথে জড়িত। এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিএনপি সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত। কারণ বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্যই রাজনীতি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে প্রকট ভুক্তভোগী দরিদ্র লোকেদের। ক্ষুধা লকডাউন বোঝে না, কোয়ারেন্টিন বোঝে না, বোঝে না সামাজিক বা শারিরিক দূরত্ব। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ‘লকডাউন’ করা হয়েছে এই দিনমজুর শ্রেণীর খাবারের ব্যবস্থা করে।

আর আমাদের দেশে প্রনোদনা প্যাকেজেও এই মানুষগুলোর জন্য কিছু নেই। এরা তাহলে কি করবে, কোথায় যাবে? এছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলককাজে যারা জড়িত তাদের নিরাপত্তা ও ঝুঁকিভাতার কথা কোথাও নেই।

বিশেষ করে এতদিন ধরে গণমাধ্যমকে সহায়তার যে কথা বলা হয়েছিল তাও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজে উল্লেখ নেই। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভোগান্তি প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাথে সরকার যে আচরণটি করেছে, এটি কোনো সভ্য রাষ্ট্র কিংবা সভ্য সরকারের আচরণ হতে পারেনা।

শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অবস্থানগত পার্থক্য সর্বোপরি সমন্বয়হীনতা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মর্মাহত করেছে। কারখানা খোলা ও বন্ধ রাখা নিয়ে লুকোচুরি খেলা খুবই ন্যক্কারজনক।

চাকুরি হারানোর ভয়ের কাছে মৃত্যু ভয়কেও হার মানিয়েছে পোশাক শ্রমিকসহ নিন্ম আয়ের মানুষজনকে। যে পরিমাণে জনসমাগম হলো, তা সত্যিই আতঙ্কের। আমাদের মনে ভয় জাগছে। জানিনা আমরা ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি কি না?

আরও পড়ুন

×