দেশজুড়ে ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা

কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক  লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন এবং গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকার ৩৮টি এলাকাকে আংশিক লকডাউনে ইয়েলো জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন হিসেবে কোনো এলাকাকে দেখানো হচ্ছে না।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন রেড জোন বিবেচিত দেখানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগঃ পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি।

ঢাকা বিভাগঃ পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইলকে। এই বিভাগে শুধু ঢাকা ও ফরিদপুর আংশিক লকডাউন।

খুলনা বিভাগঃ চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরাকে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগঃ পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীকে।

রংপুর বিভাগঃ এই বিভাগের ৮ জেলাকেই পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো- দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও।

সিলেট বিভাগঃ পুরোপুরি লকডাউনে বলা হচ্ছে। বিভাগের জেলাগুলো হলো- হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট।

ময়মনসিংহ বিভাগঃ এই বিভাগেরও সব ক’টি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে।এ জেলা গুলো হলো জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর।

বরিশাল বিভাগঃ পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরকে।