সিইজিআইএসের পূর্বাভাস, পদ্মা-যমুনার ভাঙনে বিলীন হবে ২ হাজার হেক্টর এলাকা

প্রকাশিত: 19/06/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

সিইজিআইএসের পূর্বাভাস, পদ্মা-যমুনার ভাঙনে বিলীন হবে ২ হাজার হেক্টর এলাকা

আগামী বছর (২০২১) মধ্যে দেশের ২ হাজার ৩৮৫ হেক্টর বা প্রায় ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এতে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারাতে পারেন। এ গোটা এলাকা ১২ জেলায় বিস্তৃত। তবে সবচেয়ে বেশি ভাঙনের মুখে পড়তে পারে যমুনা ও পদ্মা পারের পাঁচ জেলার মানুষ।

সরকারের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) পূর্বাভাসে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন জনস্বার্থে প্রকাশের লক্ষ্যে গত বুধবার অনুমোদন পেয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, নদী ভাঙন থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকার দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

দেশে মূলত মে থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বসতভিটাসহ অনেক অবকাঠামো নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

সিইজিআইএসের নদী ভাঙন পূর্বাভাস-২০২০ এ বলা হয়েছে, এ বছর শুধু দেশের প্রধান দুই নদী অববাহিকা ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মার ১৬টি স্থান ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। গত বছরও সংস্থাটি ২২ স্থানে ভাঙনের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এরমধ্যে ৮০ শতাংশ এলাকা ভেঙেছে।

সিইজিআইএসের পূর্বাভাস মতে, এ বছর ১২ জেলার ১৬টি স্থানে ভাঙন ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। জেলাগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও মাদারীপুর।

সংস্থাটি বলছে, এবারের মৌসুমে ডিসেম্বর পর্যন্ত পদ্মা-গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পাড়ে ভাঙন চলতে পারে। এতে ৩৬৫ বসতবাড়ি, ৫ হাজার ৪০০ মিটার জেলা, উপজেলা ও গ্রামীণ সড়ক, ৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৯টি মসজিদ, ৩টি হাটবাজার, ২টি সরকারি ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে।

সিইজিআইএসের জুনিয়র স্পেশালিস্ট সুদীপ্ত কুমার হোড় বলেন, ভূ-উপগ্রহের ছবি, ভাঙনপ্রবণ এলাকার মাটির ধরন পরীক্ষা ও মাঠপর্যায়ের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ওপর গবেষণা করে এ ১৬ স্থান নদী ভাঙন ঝুঁকির স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×