প্রকাশিত: 22/06/2020
একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় যোদ্ধা বীরপ্রতীক বদিউজ্জামান টুনু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯১ বছর।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আরিফুল হক।
কবি আরিফুল হক জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বদিউজ্জামান টুনু।কিছু দিন আগে তার পা ভেঙে গিয়েছিল। এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই।
সপ্তাহখানেক আগে তিনি স্ট্রোকে করেন। এর পর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় নেয়া হয়েছিল।
শনিবার তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর তাকে আবারও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও করেন।
মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বদিউজ্জামান টুনু বীরপ্রতীক খেতাব পান।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বদিউজ্জামান টুনুর বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগনি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে।