স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি : বিএনপির সংসদ সদস্য হরুন

প্রকাশিত: 23/06/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি : বিএনপির সংসদ সদস্য হরুন

আজ মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে অংশ নেয় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ তাকে আলোচনার জন্য ১২ মিনিট সুযোগ দেয়া হয়।শুরুতেই সাংসদ হারুন ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলে বক্তব্য শুরু করেন।

এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া তাকে থামিয়ে এভাবে শুরু করার কারণ জানতে চান। তখন হারুন অর রশিদ এটার ব্যাখ্যা বক্তব্যের শেষে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

বক্তব্যে হারুন-অর-রশীদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, করোনা দু'তিন বছরেও যাবে না।
এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডিজি। তাহলে এই করোনা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। 

এটাকে মোকাবিলা করার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার। এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সরকারদলীয় সাংসদেরা হইচই শুরু করেন। এ সময় হারুন বলেন, হইচই করে লাভ নেই। চিল্লাচিল্লি করে কোনো লাভ হবে না। জনগণের কাছে বার্তা যাচ্ছে যে আপনারা সত্য তথ্যগুলো তুলে ধরা থেকে বঞ্চিত করছেন।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তুলে ধরে সংসদে থাকা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে হারুন-অর-রশীদ বলেন, সরকারের লোকজন, বিএমএ বলছে, করোনায় মৃত্যুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি কোনো কোভিড হাসপাতাল ভিজিট করেছেন? ১০ দিন ধরে ফোন করে ও বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাড়া মিলছে না। ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। কমিটমেন্ট আছে, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন।

হারুন-অর-রশীদ অভিযোগ করেন, সমাজে ঘুণ ধরে গেছে। চাঁদাবাজি, শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ খারাপ ব্যক্তিরা দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এই সংসদে এমন ব্যক্তি এসেছেন, যিনি মাদক পাচারের শীর্ষে। তিনি কীভাবে সংসদে এলেন? তার স্ত্রী কীভাবে সংসদে এলেন? সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় না থাকলে সংসদে আসতে পারতেন না।

আরও পড়ুন

×