ডাক্তারদের থাকা-খাওয়ার বিলে কোনো দুর্নীতি হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: 01/07/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

ডাক্তারদের থাকা-খাওয়ার বিলে কোনো দুর্নীতি হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ায় বিলে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের থাকা-খাওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথা হয়েছে, সেটা আমি খোঁজ নিয়েছি। ৫০টি হোটেল ভাড়া হয়েছে। সেখানে ৩ হাজার ৭০০ মানুষ একমাস থেকেছে।

প্রত্যেকটি রুমের ভাড়া ১১০০ শ’ টাকা। খাওয়ার খরচ যেটা বলা হয়েছে, তা টোলালি ভুল। সেখানে দিনের তিনটি মিলের জন্য খরচ ৫০০ টাকা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মঞ্জুরি দাবির উপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, সরকার কাজ করেছে বলেই করোনায় অন্যান্য দেশের থেকে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার কী চিকিৎসা লাগবে ডব্লিউএইচও তা বারে বারে চেঞ্জ করেছে। আমরাও সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করেছি। কেউ কিন্তু আগে বলেনি পিপিই লাগবে। যখন বলা হলো, তখন সারা বিশ্ব লকডাউন। এই লকডাউনের কারণে আমরা পিপিই পাচ্ছিলাম না। যন্ত্রপাতি পাচ্ছিলাম না।

পরে আস্তে আস্তে ব্যবস্থা করেছি। এখন আর সেই অভিযোগ নেই। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ লাখ পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এখন হাইফ্লো অক্সিজেনের প্রয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা এক হাজার অক্সিজেনের অর্ডার দিয়েছি। প্রায় ১০ হাজার নতুন সিলিন্ডার বানানো হয়েছে।

সংসদ সদস্যদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা নেই। ৫ মাস কিন্তু আমরাই মাঠে আছি। ২৫ দিনে বসুন্ধরায় দুই হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা পেলে কোভিড চলে যাবে। স্বাভাবিকভাবে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা এখন ৬৮টি ল্যাব করেছি। দিনে মাত্র দেড়শ’টা টেস্টের ব্যবস্থা ছিল সেটা এখন আঠার হাজারে উন্নীত হয়েছে। এটা এমনিতেই হয়নি। আমরা জানি, আমাদের আরো টেস্ট দরকার। আরো করলে ভালো হয়। কিন্তু কোটি কোটি লোককে টেস্ট করতে পারবেন না। এটা আমাদের মানতে হবে।

আরও পড়ুন

×