প্রকাশিত: 16/07/2020
বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তৃতি ঠেকাতে লকডাউনের সময় দেশের প্রায় ৫ শতাংশ দরিদ্র দিনে এক বেলার বেশি খাবার জোগাড় করতে পারেননি।অর্থাৎ তারা প্রতিদিন দুই বেলা না খেয়ে থাকছেন।
দরিদ্র মানুষের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব: দরিদ্র মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি' শীর্ষক এই জরিপ পরিচালনা করেছে খাদ্য অধিকার আন্দোলন।
মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ৩৭টি জেলায় প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে এই জরিপ ৮৩৪ জনের ওপর পরিচালনা করা হয়। দরিদ্র মানুষ হিসেবে রিকশাচালক, হকার, দিনমজুর, ক্ষুদ্র দোকানি, কৃষি শ্রমিক এবং গৃহকর্মীরা জরিপে অংশ নেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ২৮ লাখ। সেই হিসাবে পাঁচ শতাংশ দরিদ্র দুই বেলা না খেয়ে থাকলে গোটা দেশে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ লাখেরও বেশি।
জরিপের তথ্যানুযায়ী করোনার প্রভাবে দেশের ৯৮ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে। ফলে খাদ্য সংকটে ছিল তারা। অন্তত ৮৭ শতাংশ দরিদ্রের পক্ষে তিনবেলা খাদ্য জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রাম এবং শহর প্রায় সমান হারে জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
জরিপে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে যেসব দরিদ্র মানুষ তিনবেলা খেতে পারতো, জরিপকালীন তাদের মধ্যে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে পেরেছেন। এমনকি ৫ শতাংশ দরিদ্রকে দিনে একবেলা খেতে হয়েছে।