প্রকাশিত: 22/07/2020
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে পদ ছাড়তে হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। জানা গেছে, এক মাস আগে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
২০১৬ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে নিয়োগ দিতে বলবেন তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
গত মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ পাওয়ায় সমালোচনায় রয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। শুরুটা হয়েছিল চিকিৎসকদের নিম্ন মানের মাস্ক সরবরাহ দিয়ে।
এরপর রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারি ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার পর তোপের মুখে পড়েন মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এক পর্যায়ে তিনি রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিরোধে জড়ান।
গত জুন মাসে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের একটি বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মানুষ যখন আগামী দু-এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই গভীর অনিশ্চয়তার কথা শোনান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে হাজির হয়ে মহাপরিচালক বললেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। আগামী দুই থেকে তিন বছর বা তারও বেশি সময় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকবে।