সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জালিয়াতি এখন প্রকটভাবে দৃশ্যমান

প্রকাশিত: 28/07/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জালিয়াতি এখন প্রকটভাবে দৃশ্যমান

দুর্নীতি, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, সমন্বয়হীনতা, প্রতারণা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জালিয়াতি এই সবই এখন প্রকটভাবে দৃশ্যমান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

রুমিন ফারহানা বলেন,  মানুষ মূল্য দিয়েছে জীবন আর জীবিকার বিনিময়ে। করোনা নিয়েও যে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা ফাঁদা যায় সেটা আমরা এইবার বিশ্বকে দেখিয়ে দিলাম। আমাদের ভুয়া করোনা রিপোর্ট শিরোনাম হলো নিউইয়র্ক টাইমস, আজ জাজিরার মতো পত্রিকায়।

দুর্নীতি রোধ করতে যদি সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে সৎ হতে হয় তাহলে আমরা জনগণের করের টাকায় একটা আস্ত প্রশাসন পুষছি কেন? এই অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে সরকার পরিচালনার ব্যয়ই হচ্ছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আর পেনশন গ্র্যাচুইটি বাবদ ব্যয়ই হচ্ছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। এই বিপুল খরচ করে কেন আমরা এমন প্রশাসক পুষতে যাবো যিনি দায়িত্ব এড়াতে কথা বলেন ধর্মগুরুর মতো।

দেশের আর সব খাতের মতোই একেবারে পচে যাওয়া স্বাস্থ্য খাতে নিযুক্ত নতুন মহাপরিচালকের কাছ থেকে জনগণ দেখতে চেয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে চরম কঠোরতা। তার ঘোষণা করা উচিত ছিল অপরাধী যেই হোক না কেন, যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অথচ তিনি করছেন জনগণকে সৎ হবার নসিহত।

তিনি দুর্নীতির দায় সরকারকে দিতে রাজি নন। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির জন্য যদি সরকার দায়ী না হয়, তাহলে দায়ী কে? স্বাস্থ্য খাতে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে কারা? তার সুবিধাভোগী কারা? এর সঙ্গে যুক্ত লোকজন কারা? তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই, দুর্নীতির সঙ্গে সরকার যুক্ত নয়, তাহলেও এই দুর্নীতি রোধের দায়িত্ব কার কাঁধে বর্তায়? দুর্নীতির দায় সবার বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? এই দায় কি ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর? নাকি যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তার? নাকি তার পরিবারের? নাকি যারা এই দুর্নীতির বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছেন তাদের, অর্থাৎ গণমাধ্যমের?

আরও পড়ুন

×