প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে ফ্রিল্যান্সারদের: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গতকাল একনেক সভায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট: বাংলাদেশ অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০২০-এর মোড়ক উম্মোচন করেন।

বাংলাদেশের অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ভাল আয় করছে কিন্তু তাদের সামাজিকভাবে স্বীকৃতি না পাওয়ার কারনে তারা এই পেশায় নিজেদের পরিচয় দিতে পারছেনা অন্যদের।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকবাবে কিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তার উপায় বের করার জন্য পরামর্শদে দেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন এবং সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা জানান। সভায় ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) প্রকল্প অনুমোদ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরির সহায়তা করা হবে জানানো হয়। সেই সঙ্গে স্টার্ট-আপদের সহায়তা প্রদান ছাড়াও আইটি সেক্টরে যুবসমাজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সহায়তা করা হবে জানানো হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এ প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন, তারা কেরানী বা অন্য সরকারি চাকুরীজীবিদের চেয়েও বেশি আয় করা সত্ত্বেও সামাজিকভাবে তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন, বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি অপছন্দ বিষয়টি কাজ করে। তাই যারা এ পেশার সহিত যুক্ত তাদের কিভাবে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি  দেওয়া যায় তার উপায় বের করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

গতকাল অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত মোট ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২টি সংশোধিত। সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্প হলো ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প, ১৪৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিপিডিসি’র আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পূনর্বাসান, বিদ্যুত ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্ততন প্রকল্প, ৪৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত)।