প্রকাশিত: 23/09/2020
আসন্ন শীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, দেশে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের শিথিলতা চলে এসেছে। গ্রামের মানুষ মাস্ক পরেই না।তাই দীর্ঘস্থায়ী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
অপরদিকে, শহরের বেশির ভাগ মানুষ সভা, সেমিনার, যানবাহনে মাস্ক পরছেন না। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনার দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ! এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৯৯ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শীতকালে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা এলেও লকডাউনে না গিয়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার সব পন্থা রেখেই কর্মপরিকল্পনা করতে যাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সারা দেশে লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। কারণ লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থনীতি সচল রেখেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, পরবর্তী অবস্থা পর্যালোচনা করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভায় বলা হয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বরে শীতের প্রকোপ বাড়লে কোভিডের সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে। কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে।
অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তাই মন্ত্রণালয়গুলো নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে এবং তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী সময়ে সেগুলোকে সমন্বয় করে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করবে।