বিদ্রোহ ঠেকাতে পারছে না জাতীয় পার্টি

প্রকাশিত: 08/10/2019

নিজেস্ব প্রতিবেদন

বিদ্রোহ ঠেকাতে পারছে না জাতীয় পার্টি

কিছু দিন পরেই হতে যাচ্ছে নির্বাচন । আগামী ১৪ অক্টোবর ৭টি উপজেলা ,২টি পৌরসভা, ও ২২টি পরিষদের নির্বাচন হতে চলেছে। আর এসব নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ।

অথচ এখনো ৭টি উপজেলার মধ্যে ৬ টিতেই দলের নেতারা বিদ্র্যোহ প্র্রার্থী হিসেবে দাড়িয়েছে। আর ২ পৌরসভায় একটিতে চলছে বিদ্রোহ চলছে। এখন চলছে বিদ্রোহ প্রার্থীর ছড়াছড়ি।এবং ২২টি ইউনিয়নেও চলছে একই অবস্হা । আর এটায় থামাতে পারছে না জাতীয় পার্টি । এমনকি কিছু দিন আগেও উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহ হিসেবে জয়ী চেয়ারম্যানদের শোকজ করেছেন । আর বিদ্রোহর নির্দিষ্ট কারন না দেখাতে পারলে তাদের কে বহিস্কার কারা হবে এবং পদ-পদবী কেড়ে নেওয়া হবে । এবং এতো কিছুর পরেও বিদ্রোহ থামছে না । এ বিষয় নিয়ে বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন নির্দিষ্ট কারন দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনো শাস্তি নির্ধারণ হয়নি বলে হয়তো তাড়া বিষয় টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না । বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে দলের প্রতি অনুগত্য দেখাবে বলে জানান । আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান তোতা। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ময়জদ্দীন হামীদকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মীর সুলতানুজ্জামান লিটন।
বরিশালের মেহেন্দীগন্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুনসুর আহমেদ । । তার বিরুদ্ধে লড়ছেন কাজীরহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, আন্ধারমানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল আলম লিটন সরকার এবং কে এম রফিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শরিফুন্নেছা মিকি দলের একক প্রার্থী। তবে মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শাহজাহান আলী।
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিব শংকর দাস। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নবীনগর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বশির আহমেদ সরকার পলাশ, নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক পারভেজ হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদ প্যারিন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী মনির হোসেন। ভোলার লালমোহন পৌরসভায় মেয়র পদে এমদাদুল ইসলাম (তুহিন) দলের একক প্রার্থী।

২২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হচ্ছেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নে রবিউল ইসলাম, বাজুবাঘায় ফজলুর রহমান, পাকুড়িয়ায় মেরাজুল ইসলাম, মনিগ্রামে সাইফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজানায় জাহিদুল ইসলাম মুকুল, হাবিবুল্লাহনগরে মিজানুর রহমান বাচ্চু, নাটোরের সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খালাবাড়িয়ায় আলতাব হোসেন, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ইসবপুরে ইমরুল কায়েশ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়ায় জাহিদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ছালাউদ্দিন ভূঞা, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লিতে মোহাম্মদ মুরছালিন, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দিতে জুবাইদুর রহমান, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুরে আবদুল কাদির, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়ায় শেখ মোজাহিদ বিন ইসলাম, নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়ায় আবদুল মোহিত চৌধুরী, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীলে শফিউল আজম, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁওয়ে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগরে এ কে এম কামাল উদ্দিন, দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নে বেলায়েত উল্যাহ, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নে তসলিম ইকবাল চৌধুরী, ঘুমধুমে এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ এবং সোনাইছড়িতে এ্যানিং মারমা। তবে বেশিরভাগ ইউনিয়নেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন।

আরও পড়ুন

×