সম্রাট “অসুস্থ” ঢাকায় হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে । 

প্রকাশিত: 08/10/2019

নিজস্ব প্রতিবেদন

সম্রাট “অসুস্থ” ঢাকায় হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে । 

ঢাকা মহা নগর দক্ষিন যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল  হোসেন চৌধুরী সম্রাট আটক হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । 

আজ রাত ৩ টার দিকে কারাগারে থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে । প্রথমে জরুরী বিভাগে ডাক্তার দেখার পর তাকে হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ  দেন । 

পরে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে সকাল ৭ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে  নিয়ে যায় । এখন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন । 

গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের মাদক ও ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে আত্মগোপনে যায় ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট । দুই সপ্তাহ আত্মগোপনে থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মুরাদ নগর এলাকার এক শিবির নেতার বাড়ি থেকে র‌্যাবের অভিযানে আটক করা হয় ঢাকা মহা নগর দক্ষিন যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে । 

আটক হওয়ার পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালায় র‌্যাব সেই অভিযানে তার কাকরাইলের কার্যালয় থেকে দুইটি ক্যাঙারুর চামড়া উদ্ধার করে র‌্যাব ।সেই সাথে কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করেন  । এই ঘটনায় বন্য প্রানী সংরক্ষণ ও নিরাপওা আইনে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয় উচ্চ আদালত । এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়ে রাত ৮ টার দিকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয় । 

অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছেন পুলিশ।  তবে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আটক হওয়ার পর তার দলের অনেক নেতা কর্মী  তার সাথে দেখা করেছেন । কিন্তু তার পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখা করতে আসেনি । 

তার পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে সম্রাট ক্যাসিনো পরিচালনা করে যেই টাকা আয় করতেন তা তার দলের জন্য ব্যবহার করতেন । পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তার স্ত্রী বলেন । যদি তিনি ক্যাসিনো পরিচালনার টাকা দলের পিছনে খরচ না করতেন তাহলে সম্রাট নেতা দের চোখে ভালো কি ভাবে হয় ।

তার কাছে সব সময় এত লোক কি ভাবে অবস্থান করে । অবশ্যই সে তার ক্যাসিনো পরিচালনার কোটি কোটি টাকায় দলের পিছনে খরচ করেন । তার স্ত্রী শারমিন চৌধুরী আরো বলেন দুই বছর বাসায় যায় না সম্রাট । 

তার স্ত্রী বলেন সম্রাট সব সময় সম্রাটের মতোই চলাচল করতেন । তার বাড়ি গাড়ির প্রতি কোন নেশা না থাকলেও তার একটাই নেশা জুয়া খেলা । এই সময় তিনি আরো বলেন,তিনি জুয়া খেলার জন্য সিঙ্গাপুর যেতেন । তবে তিনি কি ভাবে বাংলাদেশে ক্যাসিনো সম্রাট হয়েছেন তা তিনি যানেন না । 

ইসমাইল হোসেন সম্রাট ১৯৯৩ সালে ঢাকা মহা নগর দক্ষিন যুবলীগের ৫৩ ওয়ার্ডের যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন তার কয়েক বছর পর ২০০৩ সালে ঢাকা মহা নগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন ।

তার পর ২০১২ সালের ঢাকা মহা নগর দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি হিসাবে নিবার্চিত হন । তার পরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েন তিনি । 

আরও পড়ুন

×