আজ মধ্যরাত ( রাত ১২টা) থেকে ২২ দিন মেঘনায় ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ

আজ মধ্যরাত ( রাত ১২টা) থেকে ২২ দিন মেঘনায় ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ

ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায়(০ ৮ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ এর ফলে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় মাছ ধরা যাবে না।এ সময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকছে।

এ আইন আমান্য করলে জেল অথবা জরিমানা এমনকি উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।

প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস সংশোধন করে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ২০১৬ সালে বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়। ।লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা গেছে, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়।

এসময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ এসে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ডিম ছাড়ে। একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পারে। বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে সেজন্যই ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসন ও মৎস্যবিভাগ জেলেদের সঙ্গে চেতনতামূলক সভা করে আসছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ইলিশের প্রজনন মৌসুম সফল করতে কাজ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২২ দিন জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে লক্ষ্মীপুরের জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের ( ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় চাল দিয়ে থাকে সরকার। প্রত্যেক জেলে পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকে।

এছাড়াও প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জেলেসহ সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, বরফ কলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অন্য কোথাও থেকে বরফ আসতে না দেওয়া,

নদী সংলগ্ন খাল থেকে নৌকা বের হতে না দেওয়া, মাছঘাট সংলগ্ন বাজারের নৌকা ও ট্রলারের জ্বালানি তেলের দোকান বন্ধ রাখা, নদীর মধ্যে জেগে ওঠা চরের মাছঘাটগুলো বন্ধ রাখা প্রভৃতি।লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন,

ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময়ে মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইন আমান্য করলে ১ বছর থেকে ২ বছরের জেল অথবা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

আরও পড়ুন

×