ভিসির ক্যাম্পাসে যাওয়াটা জরুরী ছিল ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

প্রকাশিত: 09/10/2019

নিজেস্ব প্রতিবেদন

ভিসির ক্যাম্পাসে যাওয়াটা জরুরী ছিল ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

ভিসির ক্যাম্পাসে যাওয়াটা জরুরী ছিল ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়  ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা কান্ডের ঘটনায় ক্ষোপ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ;হত্যার খবর শুনার সাথে সাথে তার ওখানে যাওয়াটা দরকার ছিল একজন অভিবাবক হিসাবে । কারন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য (অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম) আর তার যাওয়াটা উচিত ছিল । 
ভিসির ওপর ক্ষোপ প্রকাশ করে আরও বলেন ; উনি কেমন ভিসি ? উনার কোনো দায়িত্ব নাই একটা ছাত্রকে নির্মম ভাবে মারলো । আর উনি এভাবে এতটা সময়  বাইরে কিভাবে থাকতে পারে ? আরও বলেন উনি কেমন ভিসি সেটা আমি বুঝে উটতে পারছি না উনার ছাত্র মারা গেলেন সেখানে তো ছিলেন না তারপর জানাযায়ও সে ছিল না । বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড ঘটনার কোনো ভাবেই বরদাশ করা হবে না । আর এর সাথে যারা জড়িত আছে তাদের কে সর্বোচ্চ চেয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে । কাওকে এক চুল পরিমাণ ছাড় দিতে আমি দিবো না । আমি একজন দেশের শুধু প্রধান মন্ত্রী হয়ে নই । একজন মা হিসেবে এই অপরাধের বিচার করবো ।এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক , অনাকাঙ্খিত,এটা মেনে নেয়া যাচ্ছে না । আর মানবেই বা কেনো ? ঘটনা শুনার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি তারা কড়া ভাবে ব্যবস্হা নিবেন । ইতি মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন নানা রকম উসকানি দেয়া হবে, কিন্তু কোনো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। প্রধান মন্ত্রী বলেন অনেক প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু সেটা আমি করতে দেয়নি । আমি ফুটেজ গুলো সংরক্ষণ করতে বলেছি । আর এটা কেউ ভাববেন না যে আমার নিজের দলের লোক বলে কোনো প্রকার ছাড় দিবো । ছাড় দিচ্ছি না আর দিবো না ।  তার পরও কিছু মানুষ ও কিছু সংগঠন আছে, যারা সরকারের ভালো কিছু চোখেই দেখে না। সবসময় তারা নেগেটিভ বিষয় খোঁজার চেষ্টা করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন , যে ওতো বাচ্চা ছেলে কতো টুকু ও বা বুঝে । ওর বয়স মাত্র ২১ বছর । ওর ভিন্ন উক্তি থাকতে পারে । আর সে জন্য তাকে এভাবে নির্মম ভাবে মেরে ফেলতে হবে । একটা মায়ের কোল খালি করতে হবে । আর তোমরা যারা মারলে তাদের মন কি কিছু বললো না তোমাদের সাথে একই ক্লাসে তো পড়তো ও তোমাদের সাথে । কীভাবে করলা তোমরা? বন্ধু হয়ে বন্ধু কে  এভাবে মৃত্যু দিলা ? একটু কি মায়া  লাগেনি তোমাদের ? বুক টা কি একবারের জন্য কেপে উঠেনি তোমাদের । ও কি বলেছে মোংলাবন্দরের কথা বলেছে , আরে তখন তো মোংলাবন্দর ছিলো না । ছিল চালনাবন্দর । ওতো ছোট মানুষ ভিন্ন মত দিতেই পারে । তার জন্য তাকে এভাবে মারতে হবে ? এটা কোনো মতে সজ্য করা হবে না । এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ভারত নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলা হচ্ছে।
আর বুধবারে আমি জানাবো বিস্তারিত কি দিলাম আর কি নিয়ে আসলাম । প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আরও নেয়া হবে। তার পরও আন্দোলন কেন। বিএনপির আমলে মেধাবী শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনি হত্যাকাণ্ডের বিচার তো হয়নি। পুলিশ তখন ছাত্রদের মিছিল পর্যন্ত করতে দেয়নি। আমরা তো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি তো দল দেখিনি? তার পরও কেন আন্দোলন? বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গায় থেকে নানা ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।
 এ ঘটনা নিয়ে কেউ যেন ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে না পারে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, কাদের নির্দেশনায় এটা হয়েছে, সব খুঁজে বের করা হবে। তিনি বলেন, আমি দেশটাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় নানারকম ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন

×