প্রকাশিত: 09/10/2019
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের উপর হামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা । বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদ এবং যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাওলাদার ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদকে কোতোয়ালি থানায় আটক করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সমবেত হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে একটি মিছিল বের করে।
মিছিলটি অবকাশ ভবনের সামনে আসলে পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জবি ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
এবং যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফকে সুমনা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের মিছিলে হামলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান বলেন, জবিতে আজকেও আবরার হত্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারত। দলমত নির্বিশেষে সে সবার উপরে ছাত্র।
আর ছাত্রদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা অাছে। ছাত্রদের উপর ছাত্রদের হামলা কোন মানবিক কাজ হতে পারে না। অার এটা কোন ছাত্রেরও কাজ নয়। আজকের ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িততের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।
জবি ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আবরার হত্যার প্রতিবাদে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা করে। তিনি ছাত্রলীগকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে যাবো।
এরপরে ছাত্রদলের উপর হামলা হলে, আমরা উচিত জবাব দেব। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমরা দুই জন ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে আমাদের হেফাজতে রেখেছিলাম। পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর ড. মোস্তুফা কামাল বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখব। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখবেন। যদি তারা কোন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে বুঝিয়ে তাদের ফেরাতে হবে।