প্রকাশিত: 10/10/2020
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ড. মোর্শেদকে চাকুরিচ্যুতি আইনের লঙ্ঘন। ড. মোর্শেদ একজন মেধাবী শিক্ষক। তাকে ভিন্নমতের কারণে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। কারণ তিনি জিয়াউর রহমানের নামে প্রবন্ধ লিখেছেন। এ জন্যই তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
এটা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করেছে। যাকে বলা হয়- ‘ইউনিভার্সিটি অফ ল ব্রেকিং’। অথচ সরকার দলীয় শিক্ষকেরা এমফিল-পিএইচডি থিসিস জালিয়াতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে বেরিয়েছে।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এ্যাপোলোকে অব্যাহতির প্রতিবাদ ও পুনর্বহালের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটি।
রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভিসির কাছে কোনো নৈতিক শিক্ষা পাওয়া যায় না। তিনি নৈতিক স্খলনের জন্য দায়ী। তিনি নীতি বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ন্যায় সংগত দাবিতে আন্দোলন করতে হবে।
রিজভী অবিলম্বে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এ্যাপোলোকে চাকুরিতে পুনর্বহালে দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মার্চে একটি জাতীয় দৈনিকে নিবন্ধ লেখেন ড. মোর্শেদ হাসান খান। প্রকাশিত নিবন্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগ এনে গত ৯ সেপ্টেম্বর তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সেলিম ভুইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শিক্ষক সমন্বয় কমিটির মহাসচিব বেলাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাদা দলের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান, অধ্যাপক সোহেল রানা, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ্জামান, এসএম জিলানী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, দাউদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক সরদার নূরুজ্জামান, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক শামসুল আলম রানা, মহিলা দলের মমতাজ হোসেন লিপি, মজিবর রহমান, মোর্শেদ আলম, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপনসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজকে বিচারকেরা মধ্যরাতে আদালত বসান। আপনারা জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আদালত বসান।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহালের দাবি জানাই।