ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র নেতাকে ধর্ষণ মামলায়  গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: 12/10/2020

অনলাইন ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র নেতাকে ধর্ষণ মামলায়  গ্রেপ্তার

ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় গতকাল রোববার রাতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই নেতা হলেন—মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হুদা। সাইফুল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। আর নাজমুল সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি।

সাইফুল ও নাজমুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামি।

পুলিশের ভাষ্য, সাইফুলকে রাজধানীর আজিমপুর ও নাজমুলকে মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর কোতোয়ালি ও লালাবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুল ও নাজমুল। ওই দুই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোনাল টিম। দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।


বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গতকাল রোববার তাঁদের চার নেতাকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে। এই চার নেতার মধ্যে সাইফুল ও ও নাজমুলও আছেন। অপর দুই নেতা হলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মাহমুদ।

গতকাল উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এঁদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

কিন্তু আজ সাইফুল ও ও নাজমুলকে গ্রেপ্তারের কথা জানাল পুলিশ।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, সোহরাব ও আসিফের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদেরও তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন। 

গতকাল রাতে আসিফ  খুদেবার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, খাওয়ার জন্য বাসা থেকে তিনি বের হয়েছেন। দুজন লোক তাঁকে অনুসরণ করছেন। খাবার হোটেলে ঢোকার পর তাঁরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি তাঁর সর্বশেষ অবস্থান নাবিস্কোতে বলে জানিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো সন্ধান নেই।

সোহরাব ও আসিফের ‘নিখোঁজ’ থাকার বিষয়ে উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, এঁদের কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

গত মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী পরিষদের নেতা হাসান আল মামুনসহ কয়েকজনে বিরুদ্ধে লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হকও আছেন। তিনি পরিষদের অন্যতম নেতা।

পরিষদ মামলা দুটিকে হয়রানিমূলক বলে দাবি করে আসছে।

বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অভিযোগকারী ছাত্রী সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন কর্মসূচিতে বসেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

×