প্রকাশিত: 15/10/2020
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ইউটিউব চ্যানেল ও আইপি টিভি নিয়মিত সংবাদ পরিবেশ করতে পারবে না। এমনিতেই কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যখন অনুমতি পায় শুরুতে তারা সংবাদ পরিবেশনের অনুমতি পায় না। সেজন্য তাদের কিছু প্যারামিটার পূরণ করতে হয়, আবার দরখাস্ত করতে হয়। তারপর তারা সংবাদ প্রকাশের অনুমতি পায়।
সুতরাং আইপি টিভির ক্ষেত্রেও অন্যান্য সবকিছু করতে পারবে-কিন্তু সংবাদ পরিবেশনের কাজটি তারা আপাতত করতে পারবে না-এটি আমাদের মন্ত্রণালয় নয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউটিউব চ্যানেল এবং আইপি টিভি নিবন্ধনের জন্য আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছি। সেগুলো তদন্তের কাজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। সেটি হওয়ার পর আমরা নিবন্ধন দেয়ার কাজ শুরু করব।
এক্ষেত্রে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আইপি টিভিগুলো শুধু এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। সব বিষয় নরমাল টেলিভিশন চ্যানেলের মতো করার কথা নয়, এ রকম সিদ্ধান্ত ছিল।’
অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন নিয়ে তিনি জানান, ‘অনলাইন নিবন্ধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি অনলাইনকে নিবন্ধনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছি। বাকিগুলো আমরা ধীরে ধীরে দেব। যেহেতু কয়েক হাজার অনলাইন, এগুলো সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
কারণ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পরই কিন্তু আমরা দিতে পারছি। এর আগে তো দিতে পারছি না। সে কারণেই একটু সময় লাগছে। বেশিরভাগকে নিবন্ধন দেয়ার কাজ এই বছরের মধ্যে আমরা শেষ করার চেষ্টা করব।
অনলাইন নিবন্ধনের কাজ এ বছর শেষ হলেই শেষ হয়ে যাবে তা নয়। কারণ অনলাইন তো ভবিষ্যতেও অনেকগুলো প্রকাশিত হবে।’
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।