আবরারের বাড়ি যেতে পারলেন না বিএনপি নেতারা 

প্রকাশিত: 13/10/2019

নিজেস্ব প্রতিবেদন

আবরারের বাড়ি যেতে পারলেন না বিএনপি নেতারা 

আবরারের বাড়ি যেতে পারলেন না বিএনপি নেতারা 

কিছুদিন আগে খুন হয়েছে আবরার ফাহাদ তার পরিবারকে সমবেদনা ও কবর জিয়ারত করতে আসা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানকে কুষ্টিয়ায় প্রবেশের জন্য বাধা দেয় পুলিশ। আজ সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সীমান্তে পদ্মা নদীর ওপর লালন শাহ সেতুর টোলপ্লাজায় তিনি পুলিশের সাথে কথা বলার পর তিনি গাড়ি ঘুড়িয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন 
আরও জানা যায় , আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার জন্য ভোরে ঢাকার থেকে রওনা দেন আমানউল্লাহ । তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম । আবরারের পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য এবং আবরারের কবর জিয়ারত করার জন্য তারা কুষ্টিয়ার জন্য রওনা দেন । আর এই খবর পেয়ে সকাল থেকেই জেলার গোয়েন্দা ও পুলিশ লালন শাহ সেতুর মেতায়েন করা হয় । এবং সেখানে গাড়ি গুলো তল্লাশি করেন ।

বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশে বিএনপির প্রতিনিধিদলটি পৌঁছায়। সেখানে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আল বেরুনী, ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক আবদুল আলীমসহ পুলিশ সদস্যরা তাঁদের গাড়ির গতি রোধ করেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশও সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বাধা তৈরি করে।
 আমানউল্লাহ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে অন্য নেতাদের সঙ্গে নেমে পড়েন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার উদ্দেশে তিনি বলেন,‘কেন্দ্রের নির্দেশে আবরাবের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর মা–বাবার সঙ্গে কথা বলব। যেতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন।’ তিনি সংবিধান বের করে কয়েকটি লাইন পড়ে শোনান তাদের। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ সোহবার উদ্দিন ছিলেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) এস এম আল বেরুনী এ সময় আমানউল্লাহর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সেফটি সিকিউরিটি পারপাসে আমরা আপনাকে অ্যালাও করছি না। আপনি সামনে ঘুরে ব্যাক করেন।’ আমানউল্লাহ বলেন, ‘আমি চারবার এমপি ছিলাম, দুবার মন্ত্রী ছিলাম। কেন আমাকে যেতে দেবেন না? আমরা দেশের নাগরিক তাই আবারারের বাড়িতে যাব।’ এসএম আল বেরুনী আবারও বলেন, ‘আবরারের বাড়িতে গেলে গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য অ্যালাও করব না। আমাদের ম্যাসেজটাও বুঝতে হবে।’ প্রায় ২০ মিনিট পর গোলচত্বর ঘুরে আমানউল্লাহর গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়।

আরও পড়ুন

×