প্রকাশিত: 28/11/2020
সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশীর নামে পাওয়া গেছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। তবে বিপুল পরিমাণ এসব অর্থের কোন মালিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ এই অর্থের মালিকানা দাবি করেছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছেন, এই অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এক প্রশ্নে আলোচ্য ব্যক্তির নাম ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে দুদকের আইনজীবী তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, টিটি চুক্তি অনুসারে এখনই নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে গুঞ্জন রয়েছে যে অ্যাকাউন্টের মালিককে একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী-সন্তান থাকলেও কেউ সেসব টাকা দাবি করছেননা।
খুরশিদ আলম খান আরও বলেন, সাধারণত যখন কেউ মারা যায়, তার মনোনীতরা ব্যাংকে জমা থাকা অর্থের মালিক হন। সিঙ্গাপুর ব্যাংকগুলোও বাংলাদেশের মতো নিয়ম। তবে সিঙ্গাপুরে সেই অ্যাকাউন্টের জন্য কোনও মনোনীত প্রার্থী নেই এবং তার স্ত্রী বা তার পুত্র কেউই এই অর্থটি দাবি করছে না। হতে পারে তাদের আইনজীবী পরামর্শ দিয়েছেন যে, নিজেরা এই অর্থ দাবি করলে দুদক আপনার নামে অভিযোগ দেবে। ফলস্বরূপ, এখন কেউ দাবি না করায় টাকা আনাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হলে তা ফিরিয়ে আনতে আমাদের অবশ্যই আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় অর্থ যদি কোথাও পাচার হয় তবে অবশ্যই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। রাষ্ট্র এবং জনগণের অর্থ অবশ্যই ফেরত আনা হবে। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের সাথে যারা যারা জড়িত তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।