সিলেট সীমান্ত বর্তমানে রোহিঙ্গা পাচারের সবচেয়ে নিরাপদ রুট

প্রকাশিত: 17/12/2020

ডে-নাইট নিউজ:

সিলেট সীমান্ত বর্তমানে রোহিঙ্গা পাচারের সবচেয়ে নিরাপদ রুট

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাচারের জন্য সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। তারা সিলেটে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। গত নয় দিনে ভারতে যাওয়ার সময় ২৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সিলেটে র‌্যাব ও পুলিশ আটক করেছে। পরে তাদের কক্সবাজারের উখিয়া শিবিরে স্থানান্তর করা হয়।

রোহিঙ্গারা যাতে সিলেটে অবস্থান বা সীমান্তে ঘুরাঘুরি করতে না পারে সেজন্য র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দারা নজরদারি বাড়িয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় মহানগর পুলিশ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার যমুনা মার্কেটে মামুন বাস কাউন্টারের সামনে ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে চার জন মহিলা, চার জন শিশু এবং তিন জন পুরুষ রয়েছেন। তারা সকলেই কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা।

আটকের পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছে, তারা ভারতে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার শিবির থেকে সিলেটে পালিয়ে এসেছিল। তাদের ভারতে পরিচিত রোহিঙ্গা রয়েছে। তারা দালালদের মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আটকের পরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের নিজ নিজ শিবিরে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এদিকে, ৬ ডিসেম্বর সকালে র‌্যাব দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করেছে। এ সময় দুই দালালকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আটককৃত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাতজন শিশু ছিল। প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আদালতে হাজির করা হলে তারা শিবির থেকে পালিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের আদালতের আদেশে কক্সবাজারের উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা শিবিরে প্রেরণ করা হয়েছে।

দিকে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাচারের অভিযোগে কক্সবাজারের উখিয়া থানার কুতুপালং গ্রামের মো. ছাদেক ও  সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা রাতাছড়া গ্রামের সেলিম আহমেদকে মানব পাচার আইনে মামলা করা হয়। তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ৯ দিনে ২৫ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করার পাশাপাশি সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে ইতিমধ্যে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা যাতে সিলেট শহরে অবস্থান বা ক্যাম্প ছেড়ে সীমান্তের কোনও অংশ যেতে না পারে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কড়া নজরদারির মধ্যে ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী সিলেট শহর ত্যাগের আগেই আইন-শৃংখলা বাহিনী আটক করেছে।


 

আরও পড়ুন

×