আবরার হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দিবে ; প্রধানমন্ত্রী 

প্রকাশিত: 14/10/2019

নিজেস্ব প্রতিবেদন

আবরার হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দিবে ; প্রধানমন্ত্রী 

আবরার হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দিবে ; প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ; এই হত্যা কানণ্ডে যারা মিলিত আছে তাদের কাওকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেনো তাকে সব্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে । আজ সোমবার আবরার বাবা-মা ও ছোট ভাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি । বিকাল পাঁচটার আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া বেগম এবং ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ গণভবনে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এ সময়, তাদের সান্ত্বনা দেন শেখ হাসিনা।আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। অপরাধী কে বা কোন দলের।

তিনি বলেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী আবরারের পরিবারের সদস্যদের জানান, হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন , ‘ওই সময় কিছু শিক্ষার্থী ভিডিও ফুটেজ আটকানোর চেষ্টা করেছে। সেটা তারা কেন করেছে তা এখনও আমার জানা নাই। তা না হলে হয়তো সব অপরাধী আরও আগেই গ্রেফতার হয়ে যেতো।’

তিনি আবরারের মায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু এতোটুকু বলবো  আমাকে দেখেন। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।’

এ পর্যন্ত আবরার হত্যা কাণ্ডের ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে । আর এরই মধ্যে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে । এবার ১৩ জনকে রিমাণ্ডে নিয়া হয়েছে ।গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা। 

আরও পড়ুন

×