প্রকাশিত: 21/12/2020
ভবিষ্যতে দেশে যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে, যার জন্য বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার যশোরের বিমান বাহিনী রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড এয়ার স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি লালমনিরহাটে চালু করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিমান নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ এবং বিজ্ঞানের অনুশীলন করা হবে। যার মাধ্যমে একদিন আমরা এই বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টার তৈরি করতে সক্ষম হব। শুধু যুদ্ধবিমান নয়, একদিন আমরা মহাকাশে পৌঁছে যেতে পারি, আমাদের সেই চেষ্টাও থাকবে।
তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধু তার শাসনের মাত্র সাড়ে তিন বছরে প্রতিরক্ষা নীতিমালা তৈরি করে গিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে জোর দিয়েছে। একই সাথে, সরকার সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিমানবাহিনীকে যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ফোর্সেস গোল -২০১০' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমানবাহিনীকে ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর উন্নতি ও আধুনিকায়নের জন্য আরও আধুনিক উচ্চ-শক্তি সম্পন্ন যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে। চলমান করোনার কারণে আমরা এত বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারছি না। তবে আমাদের বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি প্যারেডের মাধ্যমে ৬৭ জন ক্যাডেটকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কমিশন দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২০ জন মহিলা। বাফা কোর্সে প্রাপ্ত সাফল্যের জন্য চার অফিসার ক্যাডেটকে সোর্ড অফ অনার, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি, কমান্ড্যান্টস ট্রফি এবং চিফ অফ এয়ার স্টাফ পদক প্রদান করা হয়।
যশোরের বিমান বাহিনী একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি প্যারেড ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭৭তম বাফা কোর্স এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি কোর্সের কমিশন গ্রহণ উপলক্ষে।