প্রকাশিত: 23/12/2020
সরকারী শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসা-বাড়িগুলি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় তারা বাড়িভাড়ার জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত সুযোগ-সুবিধা পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলর (একনেক) কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে, শেরে বাংলা নগর এনইসির সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর আদেশ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। একনেক সভায় ২৫৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে 'রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও উন্নয়ন' প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, অনেক স্কুল বা সরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারী কোয়ার্টারে প্রায়শই কর্মকর্তা বা শিক্ষক থাকেন না। তাতে এগুলি দিনের পর দিন খালি থাকছে। সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুপস্থিতির কারণ হ'ল বেশি বেতনের কারণে বাড়ির ভাড়া ভাতাও
তাদের বেড়েছে। তারা সরকারী কোয়ার্টারে তাদের যে পরিমাণ টাকা কাটা হয় তার চেয়ে কম দামে ভাড়া বাসায় বাইরে থাকেন। এসব রোধকল্পে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাড়িভাড়ার 'রেট শিডিউল' পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বায়ত্তশাসিত হলেও তাদের জবাবদিহিতা ও দায়ও থাকবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইচ্ছামাফিক সর্বত্র ভবন বা অবকাঠামো গড়ে তুলতে না পারেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে মান নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।