“দ্য সিভিল কোর্ট’স ( সংশোধন ) – ২০২১” বিল জাতীয় সংসদে পাস।

প্রকাশিত: 28/01/2021

খন্দকার আদনান এশফাত

“দ্য সিভিল কোর্ট’স ( সংশোধন ) – ২০২১” বিল জাতীয় সংসদে পাস।

“দ্য সিভিল কোর্ট’স ( সংশোধন ) – ২০২১” বিল জাতীয় সংসদে পাস। সিভিল কোর্টের বিচারকগনের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার  (Pecuniary Threshold Jurisdiction )উন্নীত।

সিভিল কোর্ট সংশোধনী বিল ২০২১ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে (সূত্র-বি এস এস)। দেওয়ানী মামলা নিস্পত্তির লক্ষে নিন্ম আদালতের ( সিভিল কোর্টের) বিচারকগনের অর্থনৈতিক বিচারিক  আধিক্ষেত্রের ( আর্থিক বিচারিক এখতিয়ারের)  উন্নয়ন ঘটাবার প্রয়োজনে “ দ্য সিভিল কোর্ট’স ( সংশোধন ) – ২০২১”  আইনটি জাতীয় সংসদে  উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী জনাব আনিসুল হক। পরবর্তীতে তা সন্মানিত সংসদ সদস্যদের কণ্ঠ ভোটে পাস হয় । সারা দেশেব্যাপী বর্তমানে বিভিন্ন স্তরের ৪০, ০০০-এর আধিক দেওয়ানী মামলা (সিভিল কেসেস) বিচারাধীন/ মুলতবি রয়েছে। 

মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক আজ বিলটি সংসদে উপস্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে মাননীয় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর উপস্থিতিতে বিলটি সন্মানিত সংসদ সদসগনের কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।

বিলটি উপস্থাপনের পর  জনাব মন্ত্রী বলেন , প্রস্তাবিত বিলটি পূর্ববর্তী ১৯৮৭ সনের আইনটি সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সংশোধনীটি আদালতে বিচারাধীন মামালা সমূহের দ্রুত নস্পত্তির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জনগনের দুর্ভোগ মোচন করবে।

অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির সম্মানিত আইন প্রনেতা সম্মানিত সংসদ সদস্য  ফখ্রুল ইমাম সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, কিভাবে আইনটি কার্যকরী হবে যেখানে রিট পিটিশনের দিয়ে পূর্ববর্তী সংশোধনী এখনও স্থগিত করা রয়েছে। তিনি প্রস্তাবিত আইনটির আনুমোদনে  প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করে বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করবে মাত্র।

তিনি বলেন “ আইনটির সংযুক্তি মুলতবি/ বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করবে।“

আইনটি প্রণয়নের বিরোধিতায় অন্যান্য যেসকল বিরোধী আইন প্রণেতারা রয়েছেন তাঁরা হলেন, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুল হক, রাওশান আরা মান্নান, গণো ফোরামের সংসদ সদস্য মোকব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

এর আগে মন্ত্রীসভা “ দ্যা সিভিল কোর্ট’স ( সংশোধন) ২০২১” – বিলের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেন। নতুন আইন অনুযায়ী নিন্ম আদালতের ( সিভিল কোর্টের) সহকারী বিচারকগনের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার ( Pecuniary Threshold Jurisdiction) পূর্বের ২ লক্ষ টাকা হতে বর্তমানের ১৫  লক্ষ  টাকায় এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী বিচারকগনের ক্ষেত্রে আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার ( Pecuniary Threshold Jurisdiction) পূর্বের ৪ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লক্ষে উন্নীত করা হয়েছে।

গত ১৯ শে জানুয়ারি “ দ্যা সিভিল কোর্ট’স ( সংশোধন) ২০২১”  বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন মাননীয় আইন মন্ত্রী । বিলটি পাস হবার পূর্বে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই -বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবসমূহের নিষ্পত্তি করেন মাননীয় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ ২৭ শে জানুয়ারি ২০২১ বিলটি পাস হয়।

জাতীয় পার্টির ফখ্রুল ইমাম, মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার, পাটোয়ারী, বেগম রওশান আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাব্লু বিলের উপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায় ।

 

আরও পড়ুন

×