বন্যায় সুনামগঞ্জ ও সিলেট শহর প্লাবিত

প্রকাশিত: 29/06/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

বন্যায় সুনামগঞ্জ ও সিলেট শহর প্লাবিত

করোনা ভাইরাসের মধ্যে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।প্রতিদিন নতুন নতুুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাাবিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৮০ ভাগ বসতবাড়ি পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের ৪৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন,  রোববার সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার, ছাতকে ১৬৭ সে.মি. এবং যাদুকাটার পানি বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়া জেলা সদরের সাথে ছাতক ও তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা আরও জানান, ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে জেলাজুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন সীমান্ত উপজেলা সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারা, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসী।

পাহাড়ি ঢলে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে যাচ্ছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। দুর্ভোগে পড়া মানুষজন জ্বালানী ও খাদ্য সংকটে পড়েছেন।

এদিকে ঢলের পানিতে ভেসে গেছে জেলার বিভিন্ন এলাকার মাছের ঘের ও পুকুর। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, কতোগুলো পুকুরের মাছ ঢলের পানিতে ভেসে গেছে তা এখনো জানা যায়নি। উপজেলা থেকে প্রতিবেদন আসলে জানা যাবে।

এছাড়া সিলেট নগরেও হানা দিয়েছে বন্যা।অভিজাত এলাকা উপ-শহরের অর্ধেক এলাকা পানির নিচে। প্রধান সড়কে হাঁটু পানি। উপ-শহর সহ আশেপাশের ১০টি এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেটের মানুষ। এদিকে পানিবন্দি এলাকাগুলোতে খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। ত্রাণের জন্য আর্তনাদ বাড়ছে। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ জানিয়েছেন, পানিবন্দি মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এলাকার সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ জরুরি ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছেন।

আরও পড়ুন

×