ভূমিধ্বসের কবলে বাংলাদেশ ও তার প্রতিকার

প্রকাশিত: 13/07/2020

মো. জামাল হোসেন

ভূমিধ্বসের কবলে বাংলাদেশ ও তার প্রতিকার

ভূমিধ্বস বলতে পাহাড় পর্বত এর গা থেকে মাটির চাকা বা পাথরের খন্ড ছোট বা বিরাট আকারে খসে নিচে পড়ার ঘটনাকে বুঝায়।

অনেক সময় পাহাড়ের উপর থেকে মাটি ও পানি মিশে কাদ আকারে বিপুল পরিমাণ নিচে নেমে আসলে তাকেও এক প্রকার ভূমিধ্বস বলা যায়। ভূমিধ্বসের প্রধান কারণ হল ঢালু স্থানে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে।

যেসব কারণে ভূমিধ্বস হতে পারে-----------
১. ভূমিস্থ পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়া।
২. গাছপালা কেটে ফেলা বা আগুনে পুড়ে ফেলা এর কারণে ভূমিধ্বস হতে পারে।
৩. নদীর বা সমুদ্রের ঢেউ এর ফলে ভূমিক্ষয় হওয়া।
৪. বৃষ্টিপাত বা বরফ গলার ফলে মাটি নরম হয়ে যাওয়া।
৫. ভূমিকম্পের ফলে ভুমি অস্থিতিশীলতা হওয়া।
৬. ভূমিকম্পের ফলে মাটি তরলীভূত হয়ে যাওয়া।
৭. অগ্ন্যৎপাত ঘটা।
৮. যন্তপাতি কিংবা রাস্তার গাড়ির দ্বারা সৃষ্ট কম্পন ও অনুরণন।
৯. বিস্ফোরণ ঘটানো।
১০. বাঁধ বা মাটির স্তুপ , যা ঢালের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।
১১. অগভীর জমি হতে গাছপালা কেটে ফেলা।
১২. কৃষি , নির্মাণ কিংবা ঘাছ কাটার ফলে মাটি থেকে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া।
১৩. প্রচুর বণ্যার কারণে ভূমিধ্বস হতে পারে।
১৪. ভিবিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ কারণে ভূমিধ্বস হতে পারে।
১৫. নদী ভাঙণের কারণে ভূমিধ্বস হতে পারে।

ভূমিধ্বসের কারণে বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা গুলো বিশেষ করে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি চট্ট্রোগ্রাম প্রতি বছর ব্যাপকক্ষতি হয়ে থাকে। ভূমিধ্বস এর কবল থেকে বাঁচতে হলে নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবেঃ------
১. অধিক পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে।
২. ডবনা প্রয়োজনে গাছ কাটা যাবে না।
৩. মজবুত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
৪. ঝঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণ করা যাবে না
৫. পাাহাড়ী এলাকায় কোল ঘেঁষে বাড়ি ঘর নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

×