ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে যাচ্ছে

প্রকাশিত: 12/12/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন:

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে যাচ্ছে

রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের প্রকট বেড়েই চলছে। বাংলা ক্যালেন্ডারে এখন অগ্রহায়ণ মাস হলেও মাঝরাতে শীত প্রকট আকার ধারণ করছে। দুপুরেও রোদ দেখা যাচ্ছেনা। চারদিকে ঘন কুয়াশায় আবৃত। তবে দেশে এখনও শৈত্য প্রবাহ শুরু না হলেও দিনের তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে শীত বাড়ছে। আগামী ৩-৪ দিন এরকম আবহাওয়া থাকলেও সপ্তাহান্তে শৈত্যপ্রবাহ জেকে বসতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।

কয়েকদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা যাচ্ছেনা। ফলে শীতের প্রকট আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে।আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ডিসেম্বর ১৭-১৮ দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে এর্ং এসময় সারাদেশে একটি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। 

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, দিনের বেলা তাপমাত্রা এবং রাতের সময়ের তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য এখন কমে এসেছে। এ কারণে তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও, শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরবর্তী সপ্তাহে  তাপমাত্রা কমে ১৭-১৮ ডিসেম্বরে দেশে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, দক্ষিণ উপসাগরে মৌসুমী লঘু চাপ বিরাজ করছে। এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ অঞ্চলের সম্প্রসারণ বিহার এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে বিস্তার লাভ করছে। এতে, অস্থায়ী আংশিক মেঘের সাথে আবহাওয়াটি মূলত শুষ্ক হতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোন কোন জায়গায় নদী অববাহিকায় মাঝারি ধরণের ঘণ কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে  হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে শীত প্রকট আকার ধারণ করছে।  শীতে দরিদ্র লোকেরা অনেক সমস্যায় পড়েছেন। এখানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং কনকনে বাতাস বইছে যা জনজীবনে দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ।

কোথাও এত বেশি শীত থাকে যে অনেকে কাজের জন্য বাইরে যেতে পারেন না। উত্তরাঞ্চলে সাধারণ কৃষক, দিনমজুর ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ শীতকালে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন। বিশেষত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, গাইবান্দা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, বগুড়া, নাটোর এবং রংপুর জেলাগুলোতে শীত অতিমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে কোথাও কোথাও প্রবাহিত হচ্ছে হালকা ধরণের শৈত্যপ্রবাহ।

আরও পড়ুন

×