নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: 19/07/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে মরণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাতুলালয় শেখ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। বাবা ফয়জুর রহমান ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা ছিলেন গৃহিণী। 

তিন ভাই ও দুই বোনের মাঝে হুমায়ূন ছিলেন সবার বড়। তার ছোট ভাই অধ্যাপক জাফর ইকবাল একজন বিজ্ঞানী ও লেখক। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব একজন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এক জাদুকরী লেখক। এমন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা বাংলা সাহিত্যে বিরল। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে গেছেন।

সবচেয়ে বড় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি রসায়নের একজন ছাত্র হয়েও সাহিত্যঙ্গনে প্রবেশ করে অতি দক্ষতা ও সার্থকতার সাথে সায়েন্স ফিকশন, লজিক ও এন্ট্রি লজিক নিয়ে লেখায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

যে কারণে হুমায়ূন আহমেদকে বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎও বলা হয়ে থাকে। অমর সৃষ্টি জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলী ও হিমুর স্রষ্টাও তিনি। তার বেশ কিছু গ্রন্থ বিশ্বের নানান ভাষায় মুদ্রিত হয়েছে।

সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে একুশে পদক (১৯৯৪), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), বাসসাস পুরস্কার (১৯৮৮), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ (১৯৯৩ ও ৯৪) অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।

আরও পড়ুন

×