সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদন : ৪ মাসে ৫৭৭ জনের সড়কমৃত্যু : নদীমৃত্যু শতাধিক

প্রকাশিত: 12/05/2021

ডে-নাইট নিউজ

সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদন : ৪ মাসে ৫৭৭ জনের সড়কমৃত্যু : নদীমৃত্যু শতাধিক

পথে পথে মৃত্যুমিছিল বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপের দাবিতে ৪ মাসের পথদূর্ঘটনার তথ্য প্রতিবেদন পাঠ এবং অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথকে নিরাপদ এবং যাত্রী-মালিক-শ্রমিক অধিকার রক্ষায় দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড গত ১২ যুগের পথচলার ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ মে বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে।  প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে এতে লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন মহাসচিব শান্তা ফারজানা। বক্তব্য রাখেন সেভ দ্য রোড-এর ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক, ইভানা শাহীন প্রমুখ।


(সংবাদ-এর প্রয়োজনে প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করা হলো)


সেভ দ্য রোড-এর অঙ্গীকার পথ দূর্ঘটনা থাকবে না আর...
৪ মাসে পথদূর্ঘটনা : বন্ধে করণীয় শীর্ষক সুপারিশ প্রতিবেদন
তারিখ : ১২ মে ২০২১ স্থান : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে

প্রিয় সংবাদযোদ্ধাগণ
সালাম ও শুভেচ্ছা। সেভ দ্য রোড-এর অঙ্গীকার পথ দূর্ঘটনা থাকবে না আর। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে চলার ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতিবেদন পাঠ ও অবস্থান কর্মসূচীতে আপনারা যারা উপস্থিত; সবাইকে কৃতজ্ঞতা-ভালোবাসা-শ্রদ্ধা। করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ সামলে লকডাউন ঘোষণা করলেও সব বাঁধা ভেঙ্গে চলছে সড়ক ও নৌপথে মানুষের চলাচল। ইদকে ঘিরে আরো বেড়েছে মানুষের দূরদূরান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা। সকল লকডাউন-বাঁধা ভেঙ্গে নিজের কথা না ভেবে, পরিবারের কথা না ভেবে যখন নাড়ির টানে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ তখন নির্মম পথ দূর্ঘটনা বেড়েই চলছে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র, রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের অপরাধ-দুর্নীতি-ব্যর্থতা। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সেভ দ্য রোড-এর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের দেয়া তথ্যনুসারে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছরের মত এবছরও প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে আমাদের সামনে সবার আগে উঠে এসেছে অপরাধ-দুর্নীতি ও অসচেতনতার চিত্র। ২০২১ সালের জানুয়ারী থেকে মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত আকাশপথে কোন দূর্ঘটনার সংবাদ বা তথ্য সেভ দ্য রোড-এর কাছে না থাকলেও জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে ১৭ টি রেল দূর্ঘটনার সংবাদ গণমাধ্যমের তথ্যনুযায়ী আমাদের মিডিয়াসেল-এ সংরক্ষিত আছে। যার প্রতিটি দূর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা। সড়কপথে বছরের শুরু থেকেই ছিলো চরম নৈরাজ্য-অস্থিরতা-দুর্নীতি-চাঁদাবাজী ও একের পর এক দূর্ঘটনার চিত্র। নৌপথে বরাবরের মত নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি-দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১ জানুয়ারী থেকে ১০ মে পর্যন্ত ছিলো চরম বিশৃংখলা-দুর্ঘটনা-মৃত্যুমিছিল।

প্রিয় গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ
আপনারা জানেন, নৌপথ মানেই শান্তির পথ হিসেবে ব্যাপক আলোচিত ছিলো নদীমাতৃক বাংলাদেশে। সেই নদীপথে তৈরি হওয়া বিভিন্ন নীতিবিবর্জিত তথাকথিত সিস্টেম-এর কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যদি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলি, স্পষ্ট এটাই যে, বাংলাদেশে সড়ক ও নৌপথে পুলিশ-প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে নদীপথে নিষেধ থাকা স্বত্বেও বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ কাজ চলছে অহরহ। ৩ মে’র কথাই যদি বলি, সেদিন নিষেধ থাকা স্বত্বেও নৌপুলিশ-স্থানিয় প্রশাসন ও ঘাট নেতাদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসা স্পিডবোট চলাচলের ধারাবাহিকতায়  মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। আহতও হয়েছে অনেকে। অবশ্য সেই ঘটনার পর যথারীতি জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই পর্যন্তই শেষ, আর কোন ফলোআপ পাওয়া যাবে না সংশ্লিষ্টদের কাছে। বড়জোর যেই ব্যক্তি এই স্পিডবোটের মালিক তাকে আটক করবে; অথচ তাঁর কাছ থেকেই প্রতিদিন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা অর্থ নিয়ে এই বাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

সারাদেশে শুরু হয়েছে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন নৌবাহনের অসঙ্গতিপূর্ণ চলাচল। ফিটনেস নেই, অনুমোদন নেই এমন নৌবাহনের কারণে কেবল নারায়ণগঞ্জেই ঘটেছে অসংখ্য নৌ দূর্ঘটনা। এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো শিপের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছিলো। অথচ সেই কার্গোর মালিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আত্মিয় হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই ঘটনার পরপরই সেই কাগোর রং পরিবর্তন করে দ্রুত তা সরিয়ে নেয়ার সংবাদ আমরা গণমাধ্যমে দেখলেও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ ঘাতক কার্গো বা এর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত এমন নৌ দূর্ঘটনা অহরহ ঘটলেও অধিকাংশই থেকে যায় গণমাধ্যমের সংবাদের বাইরে। সেভ দ্য রোড চেষ্টা করছে সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবিদের মাধ্যমে সেই তথ্য তুলে আনতে। তবে বরাবরের চেয়ে বড় বেদনার বিষয় হলো- লকডাউনে নৌপথে ফেরী-¯িপডবোট-ছোট ট্রলারে মানুষ অনিরাপদ জেনেও চলাচল করতে পারছে কেবল পুলিশ-প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে। তাদের দৈনিক-সপ্তাহ-বা মাসিক হারে কিছু টাকার লোভের বলি হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাটে, শীতলক্ষ্যা নদী সহ সারাদেশের নৌপথে প্রাণ যাওয়া অগণিত মানুষ।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে সড়ক-মহাসড়কে ১০৯৮টি দুর্ঘটনায় ৫৭৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৪১০ জন, নারী ৮৭ জন এবং শিশু ৮০ জন। সেভ দ্য রোড-এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন সাধারণ যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক-মালিক ও পথ গবেষকগণ। তাদের সমন্বিত চিন্তায় এটা স্পষ্ট যে, প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর অধিকাংশই চালকদের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, সড়কের সাইন, মার্কিং ও জেব্রা ক্রসিং চালক এবং পথচারীদের না মানার প্রবণতা, নগরীর যথাস্থানে সঠিকভাবে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ না করা এবং ব্যবহার উপযোগী না থাকা, বিদ্যমান ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের অনীহা, পথচারীদের বেখেয়ালি-অসতর্কভাবে রাস্তায় হাঁটা ও রাস্তা পারাপারের অভ্যাস, রাস্তায় হাঁটা ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, গান শোনা ও চ্যাটিং করা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, প্রশিক্ষণহীনদের মোটরসাইকেল ও স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন চালানো, শিশু-কিশোরদের এলোমেলোভাবে রাস্তায় হাঁটাচলা করা, সড়ক ঘেঁষে বসতবাড়ি নির্মাণ এবং সড়কের ওপর হাট-বাজার গড়ে উঠা, জনসাধারণের মধ্যে সড়কে নিরাপদ চলাচল বিষয়ে জ্ঞান না থাকা এবং অবহেলার মানসিকতার কারণে হয়ে থাকে। এমতবস্থায় সেভ দ্য রোড সেই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যে কথাগুলো বলে আসছে, সেই কথাগুলো, সেই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মনে করছে। যদি- সেভ দ্য রোড-এর ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকার ভূমিকা রাখে, তাহলেই এই পথ হবে শান্তির। সেভ দ্য রোড-এর ৭ দফা হলো- ১. মিরেরসরাই ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘নিরাপদ পথ দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। ২. ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দিতে হবে। ৩. সড়ক পথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেস বিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতিত চালক-সহযোগি নিয়োগ ও হেলপারদ্বারা পরিবহন চালানো বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৪. সড়ক-নৌ-রেল ও আকাশ পথ দূর্ঘটনায় নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ সরকারীভাবে দিতে হবে এবং চালক-যাত্রীদের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে পথনাটক, টিভি- রেডিওতে নাটিকা প্রচারের উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে। ৫. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ বাস্তবায়ন ও পাঠ্যবইয়ে পথচলাচলের সচেতনতামূলক নির্দেশিকা সংযুক্ত করতে হবে। ৬. পথ দূর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিত করণের মধ্য দিয়ে সতর্কতা তৈরি করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ সহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি সকল পথের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যদি রাস্তা পারাপারের সময় কোন পথচারি ফোনে কথা বলে, তাকে আইনের আওতায় এনে জরিমানা আদায় করতে হবে। সকল পরিবহন চালকের লাইসেন্স করতে হবে। ৭. ইউলুপ বৃদ্ধি, পথ-সেতু সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে দূর্নীতি প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে ভাঙা পথ, ভাঙা সেতু আর ভাঙা কালভার্টের কারনে নতুন কোন প্রাণ দিতে না হয় সেই লক্ষ্যে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সড়কপথ দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের হার চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত চার মাসে থ্রি-হুইলার এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের চেয়ে দ্রুতগতির ভারী যানবাহন দ্বারা পথচারী বেশি নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহতের ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে। রাস্তা পারাপারে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি নিহত হয়েছেন। বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে সড়ক ঘেঁষা হাট-বাজারে এবং বসতবাড়ির সন্নিকটে। এই প্রতিবেদন চার মাসের হলেও এটাই মূলত দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহতের সামগ্রিক প্রকৃত চিত্র। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। খুবই অবাক লাগে, লকডাউনে গণ পরিবহন বন্ধ ও যান চলাচল একেবারেই সীমিত করা হলেও থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। আবার যখন দেখি গণমাধ্যম বলছে- নৌ-দুর্ঘটনায় পাঁচ বছরে নিখোঁজ ৭০০ মানুষ; তখন বেদনায় জর্জরিত হয় বাংলাদেশ-বাংলাদেশের মানুষ। সকল মৃত্যুই কষ্টের- বেদনার। তবে পথ দূর্ঘটনার মৃত্যু শুধু বেদনারই নয়; অসহ্যযন্ত্রণারও। এই যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতে চায় আপামর জনসাধরণ। কিন্তু তারা প্রতিকার পায় না। আওয়াজ তুলতে পারে না। সেভ দ্য রোড বলতে চায়- সচেতনতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারলেই সম্ভব বাংলাদেশে সড়ক- রেল- নৌপথ দূর্ঘটনা প্রতিরোধ করা। আর এজন্য নিজেকে পরিবর্তন করা সবার আগে প্রয়োজন।  

১১ টি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের পাশাপাশি সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবি ও গবেষণা সেল-এ দায়িত্বরতদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত ও সুপারিশসহ এই প্রতিবেদন তৈরিতে আমাকে সহায়তা করেছেন সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আনজুমান আরা শিল্পী সহ আরো অনেকেই। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

প্রিয় সংবাদযোদ্ধাগণ
পরিশেষে বলতে চাই, সেভ দ্য রোড বাংলাদেশে সড়ক-আকাশ- রেল ও নৌপথ নিরাপদ করার জন্য নিবেদিত একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। এই সেভ দ্য রোড যখন দেখে লকডাউন চলছে, মানুষের বাড়ি যাওয়াও চলছে; তখন পুলিশ-প্রশাসন-সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ব্যতিত আর কিছুই দেখতে পায় না। আমরা বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো পরিবহন চালু করে দিন, না হলে লকডাউনে পরিবহনশ্রমিকদেরকে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা পৌছে দিয়ে সত্যিকার্থেই লকডাউন কার্যকর করুন। নির্মমভাবে বাংলাদেশে মানুষকে আর মরতে দেখতে চাই না নৌপথ-সড়কপথে। আপনারা জানেন, আমরা গত ৪ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে; করোনাকালের প্রণোদনা পরিবহনশ্রমিকদেরকে দিয়ে লকডাউন কার্যকর করার দাবিতে। এক দিকে করোনা, অন্যদিকে করোনাকালিন লকডাউনে নির্মমভাবে এক মাইক্রোবাসে ১৭ জন, পিকআপ-ট্রাকে করে মানুষের বাড়ি ফেরা বন্ধে পুলিশ-প্রশাসনের নীতিময় পদক্ষেপ প্রত্যাশায় আবারো সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি...

শান্তা ফারজানা
মহাসচিব
সেভ দ্য রোড

আরও পড়ুন

×