প্রকাশিত: 08/12/2019
মাকে খুশি করার মতো আনন্দ আর কিছুতে পাওয়া যায় না ।
‘মাকে গর্বিত করার মতো খুশি আর কিছুতেই নেই’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মানেই আলোচনার শীর্ষে । বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেনই তিনি।
কখনো স্বামী নিক জোনসকে নিয়ে আবার কখনো নিজের কাজের বিষয় নিয়ে। সম্প্রতি শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য হিউম্য়ানিটোরিয়ান পুরস্কার পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আর এই পুরস্কারের কৃতিত্ব নিজের মা মধু চোপড়াকেই দিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে মা মধু চোপড়ার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশি গার্ল।
ইনস্টাগ্রামে প্রিয়াঙ্কার লিখেছেন, ‘মা এটা সেটাই, যে শিক্ষা তুমি আমায় জীবনের শুরু থেকেই দিয়েছিলে আশাকরি আমি তোমার গর্বিত করতে পেরেছি। মাকে গর্বিত করে তোলার মতো খুশি আর কিছুতে নেই।’
প্রিয়াঙ্কাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার স্বামী নিক জোনাস লিখেছেন, ‘তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে। তুমি ইউনিসেফ-এর গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসাবে কাজ করছ গত ১৫ বছর ধরে। তোমার কাজ প্রতিদিনই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে । তোমার জন্য আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।’
বহুদিন হল ‘ইউনিসেফ’ এর গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসাবে কাজ করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে কাজ করছেন শিশুদের অধিকার নিয়ে সম্প্রতি ইউনিসেফের বার্ষিক স্নোফ্লেক বল বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হন তিনি। শিশুদের অধিকারে নিয়ে কাজ করার জন্য ড্যানি কায়ে হিউম্য়ানিটোরিয়ান পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। আর এই কৃতিত্বই প্রিয়াঙ্কা তার মাকে দিয়েছেন।
চলতি বছর মেয়ে প্রিয়াঙ্কার জন্মদিন তাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মধু চোপড়া। প্রিয়াঙ্কার জন্মের সময় কিছু ঘটনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে মধু চোপড়া গণ মাধ্যম কে জনিয়েছিলেন, ‘প্রিয়াঙ্কার জন্মের সময় ওর বাবা শহরে ছিলেন না। আমাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে দৌড়াতে হয়েছিল। ও সিজারিয়ান বেবি।
ওর জন্মের আগে এক নার্স আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন যে আমি কী চাই। আমি বলেছিলাম মেয়ে। তিনি অবাক হয়ে বলেছিলেন সকলে ছেলে চায় আর আপনি মেয়ে! ও ছোট থেকে টম বয় ছিল। ক্লাসে বরাবর প্রথম কিংবা দ্বিতীয় হতো। ও যখন কলেজে পড়ে তখন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা জেতে। এখন আমার আদরের মেয়েটা অন্য কারোর হয়ে গিয়েছে।’