প্রকাশিত: 24/12/2019
মুক্তিযোদ্ধা
মিজানুর রহমান মিজান ,সিলেট থেকে::
যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ আলী সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ভাট গাঁও গ্রামের মরহুম আম্বর আলী ও মরহুমা জয়তেরা বিবি দম্পতির পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ আলী ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা মার্চ একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনির স্ত্রীর নাম মোছা: রাহেনা খানম।তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের গর্বিত একজন পিতা।১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ নং সেক্টরে মীর শওকত আলীর অধীনে কোম্পানী কমান্ডার ক্যাপ্টেন ফারুকের ও প্লাটুন কমান্ডার শফিকের নেতৃত্বে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যুদ্ধ করেন। ভুটানের ১ নং বেইসে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। গোয়াইন, রাধানগর, জৈন্তাপুর ও টেংরা টিলায় সম্মুখ সমরে শত্রুদের মোকাবেলা করেন। তিনি হরিপুরে পাক সেনা ক্যাম্প আক্রমণের সময় বুকের বাম পার্শ্বে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ৮/১২/১৯৭১ সালে ঐ দিনেই তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিলং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যুদ্ধক্ষেত্রেই সহযোদ্ধারা তার ব্যবহৃত অস্ত্র প্লাটুন কমান্ডারের নিকট জমা করেন।
সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অংশ গ্রহণকারী মোকাদ্দেছ আলী দেশ স্বাধীনের পর শিলং হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে বিজয়ীর মুকুট পরে স্বদেশে ফিরে আসেন। তিনি ভারতীয় তালিকায় ২৩৩৯৫ ও বাংলাদেশ কর্তৃক যোদ্ধাহত গেজেট নং ১৬৮৫, সাধারণ গেজেট নং ১৪৮৯ নং এর তালিকান্তর্ভুক্ত। সাময়িক সনদ নং (ম) ২৪৩১, মুক্তিবার্তা নং ০৫০১০৯০০৯৯ এ তিনির নাম অন্তর্ভুক্ত আছে এবং যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কার্ড নং ১৩৯২।বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধাহত মোকাদ্দছ আলী সরকারি সম্মানী ভাতা পান ৩০০০০টাকা। নিম্নবিত্ত পারিবারিক অবস্থায় খোরপোষ চলে ভাতার দ্বারা। বুকের বাম পার্শ্বের বুলেটের ক্ষত যন্ত্রণা দিন রাত কষ্ট দেয়।উপযুক্ত চিকিৎসার সামর্থ তিনির নেই। আর্থিক সাহায্য পেলে তিনি মাদ্রাজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ইচছুক।তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।