বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন মাজেদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকল কমিটির পক্ষথেকে সাধারন সম্পাদক জনাব মোজাম্মেল হক আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত তার ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য মহামান্য আদালত ও সরকারের কাছে আকুল প্রার্থনা জানান। মোজাম্মেল হক বলেন, “এই খুনি নির্মম ভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে ও নিস্পাপ খোকা শেখ রাসেল বাঁচার জন্য তার কাছে আবেদন করেছিল ও পানি চেয়েছিল কিন্তু নির্দয় মাজেদ তাকে পানি দেওয়ার পরিবর্তে গুলিকরে রক্তে তার শরির ভিজিয়ে দেয়। আমরা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন পরিবার এই খুনি মাজেদের দ্রুত ফাঁসি চাই”। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে উদ্যোগী হয়ে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও ভালোবাসায় উজ্জীবিত হয়ে পলাতক সব খুনিদের বের করে রায় কার্যকর করার জন্য সকলের পক্ষে সরকারের কাছে আবেদন জানান সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিঃ আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান, ইঞ্জিঃ শেখ কামাল হোসাইন ও কার্যকরী সদস্য শেখ আবু মুসা।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, পাকিস্তানিদের জুলুম অত্যাচার থেকে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশের) জনগণকে রক্ষা করার জন্য যে মহান নেতা মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির তথা বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। দেশ স্বাধীনের পর পর বঙ্গবন্ধু একটি উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সকল কার্যক্রম গ্রহন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দীর্ঘ ৯মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন দেশকে স্বাধীনতার বিপক্ষের ষড়যন্ত্রকারীরা  পুনরায় পরাধীন বানাতে চেয়েছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা   মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বার বার ধ্বংস করার চেস্টা করেছে। 

বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদান, আদর্শকে যুগ যুগ ধরে চলমান রাখার জন্য, প্রতিটি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য এবং নবীন ও তরুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করে গড়ে তুলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাষ্ট থেকে অনুমোদন নিয়ে একটি অলাভজনক সেচ্ছাসেবী সমাজসেবামুলক সংগঠন “বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন” নামে প্রতিষ্ঠা লাভকরে। বর্তমানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে অনুমোদিত ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিন কমিটি সহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন হচ্ছে। 

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ সম্পর্কে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির অফিসার থেকে জানা যায়, আবদুল মাজেদ বুধবার রাত ৩টা ৪৫মিনিটের দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় সন্দেহ হয়াতে ডিএমপির এসআই তাকে জিজ্ঞাসাবা্দের জন্য থামান। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অসংলগ্ন কথা বলায় পুলিশ তাকে জ্যারা করতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে ক্যাপ্টেন মাজেদ বলে পরিচয় দেন। মাজেদ আরোও স্বীকার করেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এবং গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ভারত সহ অনেক দেশে আত্মগোপন করেছিলেন। 
রাস্ট্রপক্ষ ক্যাপ্টেন মাজেদকে জামিন না দিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান ও রাস্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান। আদালতে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে  মাজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আরো কিছু খুনির সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যান, এর পর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাঁকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন ও ১৯৮০ সালে দেশে আসার পর তাঁকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন। তারপর একে একে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান, সচিব হন ও যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পরিচালক হন। মাজেদ বলেন, তিনি ২২-২৩ বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছিলেন ও চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময় দেশে আসেন ও ঢাকায় অবস্থান করছেন। 

আরও পড়ুন

×