পদ্মা নদীর রাক্ষুসে রুপ  ২৪ ঘন্টায় শিবচরের চরাঞ্চলের আরো একটি স্কুলভবন, বাজার নদীতে বিলীন

পদ্মা নদীর রাক্ষুসে রুপ  ২৪ ঘন্টায় শিবচরের চরাঞ্চলের আরো একটি স্কুলভবন, বাজার নদীতে বিলীন

 পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে শিবচরের চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নে তীব্র ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বিলীন হয়েছে আরো একটি স্কুল ভবন, বাজারের অর্ধশত দোকান, অন্তত ৫০ টি ঘরবাড়ি। এনিয়ে গত ৪-৫ দিনে একটি ৩ তলা স্কুল ভবন, দ্বিতল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আড়াই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হলো।

ভাঙ্গন রাক্ষুসে রুপ ধারন করায় নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে একটি মাধ্যমিক স্কুলসহ ৪ টি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বহু গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীর নির্দেশনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।


জানা যায়, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে উপজেলার চরাঞ্চলের বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি ও চরজানাজাতে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মাগুরখন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরো একটি এক তলা ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর দুদিন আগে একই বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবনটিও নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। ভয়াবহ ভাঙ্গনে গত ২৪ ঘন্টায় বন্দরখোলা বাজারের অর্ধশত দোকান, চরাঞ্চলের অর্ধশত ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দোকান, ঘর-বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে মানুষ।

গত ৪-৫ দিনে পদ্মার ভাঙ্গনে চরাঞ্চলের একটি ৩ তলা ও একটি এক তলা স্কুল ভবন, দ্বিতল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আড়াই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হলো। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ইতমধ্যেই চরজানাজাত ইউনিয়নের মজিদ বেপারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বখাস বন্দরখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এখনো নদী ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়নের নূরুউদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কাজীর সূরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪ টি বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বহু গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা অনেক বেশি। ইতমধ্যেই আমাদের একটি স্কুলের তিন তলা ও এক তলা ভবন দুটি বিলীন হয়ে গেছে।

কয়েকটি স্কুল ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। কয়েকটি স্কুল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গন এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আল নোমান বলেন, নদী ভাঙ্গনের গতিবেগ অনেক বেশি। আমরা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। চীফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী মহোদয়ের নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন

×