প্রকাশিত: 09/05/2020
নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির তীব্র প্রতিবাদ ;
ভাসানচরে দ্বিতীয় দফায় ২৭৭ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হলো
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের আরো একটি দলকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ দলটিতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মোট ২৭৭ জন সদস্য রয়েছে। এর আগে গত ৩ মে প্রথম দফায় ২৯ জন রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে পাঠনো হয় ।
শুক্রবার দুপুরে দিকে ওই রোহিঙ্গার দলটিকে নৌবাহিনী সদস্যরা ভাসানচরে নিয়ে যান। তার আগে ক•বাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
নোয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের ২৭৭ সদস্যের আরো একটি দলকে আনা হয়েছে। সাগরে বোটে ভাসতে দেখে রোহিঙ্গাদের দলটিকে নৌবাহিনীর উদ্ধার করে। এরপর তাঁদের শুক্রবার দুপুরে ভাসানচর নিয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় নৌবাহিনী ও ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধার করা দলটিতে ৯২ জন পুরুষ, ১৫৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু রয়েছে। ভাষানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সবমিলিয়ে রোহিঙ্গা রয়েছে ৩০৬ জন । দলটির সদস্যদের আশ্রায়ন প্রকল্পের একটি ক্লাষ্টার হাউজে আলাদা আলাদা রাখা হয়েছে। তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা সরকারিভাবে করা হচ্ছে।
এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারীর এই দুর্যোগকালীন সময়ে সারাদেশ যখন লকডাউনে তখন কৌশলে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিংগা পূনর্বাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি। বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি, নোয়াখালী সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের সাধারন সম্পাদক ও নোয়াখালী প্রতিদিন সম্পাদক মোঃ রফিকুল আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক এম এইচ রহমান ফুয়াদ এক বিবৃতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে হটকারী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গারা এক সময় নোয়াখালীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে। নেতৃবৃন্দ আক্ষেপ করে বলেন যদি কোন শরণার্থীকে পুনর্বাসন করতে হয় তাহলে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সীমান্ত সংলগ্ন কোন এলাকায় তাদেরকে পুনর্বাসন করা যেতে পারে, কিন্তু সীমান্ত থেকে ১০০ মাইল দূরে ইতিহাস-ঐতিহ্যের নোয়াখালীতে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন দীর্ঘমেয়াদী কোন ষড়যন্ত্রেরই অংশ। নেতৃদ্বয় সরকারকে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান ।