শেয়ার কি ?

শেয়ার কি ?

শেয়ার কি?
--------------
শেয়ার হচ্ছে কম্পানির মালিকানার অংশ। অবশ্য পুঁজিরও অংশ বটে। এ শেয়ার কেনাবেচা করা যায়। এখানে বিনিয়োগ করে দুই ভাবে লাভবান হওয়া যায়। একটি হচ্ছে ওঠানামার কারণ, অপরটি হচ্ছে কম্পানির বন্টিত মুনাফার অংশ, যা লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড হিসেবে দেয়া হয়।

শেয়ার হোল্ডার কি?

যদি কেহ কোন কোম্পানির কতকগুলোু অংশ ক্রয় করে তাকে সেই অংশের মালিক বা শেয়ার হোল্ডার বলে। এক কথায় কোন কোম্পানীর শেয়ারের মালিকদের বলা হয় শেয়ার হোল্ডার।

শেয়ার শ্রেনীবিভাগ?

বাংলাদেশ স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানীগুলোর পারফরমেন্সের ভিত্তিতে A, B, G, N এবং Z এই ৫টা বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সাধারনভাবে ভাল মন্দ শেয়ার চিনিয়ে দেবার জন্য এই বিভাগীকরন করা হয়েছে।

১. A-Category:
নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা করা সহ ১০% বা তার উর্দ্ধে লভ্যাংশ (Dividend) প্রদানকারী কোম্পানীসমূহ এ গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত।
২. B-Category:
নিয়মিত্ বার্ষিক সাধারন সভা করা সহ ১০% -এর নীচে লভ্যাংশ (Dividend) প্রদানকারী কোম্পানীসমূহ এ গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত।
৩. G-Category:
গ্রীন ফিল্ড অর্থের শেয়ার বাজারে আসার পূর্বে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শুরু করেনি এমন কোম্পানীসমূহ এই গ্রুপের অর্ন্তভুক্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এপর্য়ন্ত কেবল লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট-ই এই গ্রুপের অধীনে লিপিবদ্ধ হওয়া একমাত্র কোম্পানী।
৪. N-Category:
এই গ্রুপে অর্ন্তভুক্ত হবার ক্ষেত্রে ভাল/মন্দ ব্যবসায়িক দক্ষতার কোন প্রভাব নেই। সাধারনত কোন শেয়ার বাংলাদেশ স্টক মার্কেটে লিপিবদ্ধ হওয়ার পর কোন আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পূর্বে পর্যন্ত এই গ্রুপে রাখা হয়। আর্থিক বছর শেষ হলে পূর্বোক্ত ব্যবসায়িক দক্ষতার উপর ভিত্তি করে A, B অথবা Z গ্রুপে স্থানান্তর করা হয়।
৫. Z-Category:
নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা করতে ব্যর্থ/লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ কিংবা সর্বশেষ ৬ মাস উত্পাদন বন্ধ থাকলে এই গ্রুপে স্থানান্তর করা হয়।

ডিবেঞ্চার কি?

----------------------
ডিবেঞ্চার হচ্ছে একধরনের ঋণপত্র। এর মাধ্যমে কোন কম্পানী পুজিঁবাজার হতে প্রয়োজনের সময় টাকা ধার করতে পারে। এই ঋণপত্রে টাকা ধার দেয়ার শর্তাবলী লিপিবদ্ধ থাকে। আর্থাৎ কত পার্সেন্ট সুদে/লাভে, কত দিনের জন্য এবং কী কী শর্তে কোম্পানী কে টাকা ধার দিচ্ছেন তা লেখা থাকে। আপনি যদি ডিবেঞ্চার কিনেন এর অর্থ হচ্ছে আপনি ঐ কোম্পানীকে টাকা ধার দিলেন। তবে ডিবেঞ্চারের একটি প্রধান শর্ত হচ্ছে এই টাকা ধার নেয়ার বিপরীতে কম্পানী কোন কিছু জামানত বা বন্ধক রাখবেনা। একারনে কেবল আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং সুনামখ্যত কম্পানীগুলোই ডিবেঞ্চার ইস্যু করে টাকা ধার করতে পারে।

বন্ড কি?
---------------
বন্ড বা ঋণপত্র ডিবেঞ্চারের মতই একটি ঋণপত্র। তবে এখানে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে বন্ডের ক্ষেত্রে জামানত রাখার প্রয়োজন হয়।

ট্রেজারী বন্ড কি?
-------------------------
ট্রেজারী বন্ড বলতে সরকার কতৃক ইস্যুকৃত বন্ডকে বোঝানো হয়। এই বন্ড সঞ্চয় পত্রের সঙ্গে তুলনীয়। কিন্তু যারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করেন তারা চাইলেই সেটি ভাঙাতে/বিক্রি করতে পারেন না। কিন্তু ট্রেজারী বন্ড সেকেন্ডারী মার্কেটে লেনদেন হয় বিধায় এটি সহজেই বিক্রয়যোগ্য। (যদিও ট্রেজারী বন্ডের বাজার এখনও ততটা সক্রিয় নয়)।

শেয়ার হোল্ডারদের অধিকার বলতে কিছু আছে কি?

FacebookTwitterLinkedInMore

মার্কেট ইকোনমি বা বাজার অর্থনীতির একটি সুন্দর দিক হলো শেয়ারহোল্ডারস ডেমোক্রেসি বা শেয়ারহোল্ডারদের গণতন্ত্র। তারাই পুঁজির জোগান দেবে শেয়ার কিনে, তারাই তাদের পছন্দের লোকদের

কোম্পানির ম্যানেজমেন্টে পাঠাবে তাদের পক্ষ থেকে কোম্পানিকে ভালোভাবে ম্যানেজ করার জন্য, তারাই অডিটর নিয়োগ দেবে তাদের পক্ষ থেকে কোম্পানির ব্যবসায়িক লাভ-লোকসানকে অডিট করে দেয়ার জন্য, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানির আয়কে তারা কীভাবে বণ্টন করে নেবে, তারাই সিদ্ধান্ত জানাবে কোম্পানির বাড়তি পুঁজির দরকার আছে কিনা, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কোম্পানি ভালো না চললে কোম্পানিকে অবসায়নে পাঠিয়ে থেকে যাওয়া সম্পদ ভাগ করে নেবে কিনা। বস্তুত ব্যবসায়ে পুঁজি জোগান দেয়ার জন্য শেয়ারবাজারকে ব্যবহার করে শেয়ারহোল্ডারদের থেকে পুঁজি নেয়ার মতো আর ভালো কিছু বাজার অর্থনীতি মানবসভ্যতাকে দিয়েছে বলে মনে হয় না।

বাজার অর্থনীতি যদি পুঁজিবাদে রূপান্তর হয়, তাহলে পুঁজির মাধ্যমে সমাজের অন্যদেরকে শোষণ চলতে থাকে। আর বাজার অর্থনীতি যদি সম্পদ ও আয়ের ভালো বণ্টন ব্যবস্থার দিকে সমাজকে নিতে পারে, সেই বাজারভিত্তিক অর্থনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ তেমন কারো থাকে না।

পুঁজি কখন শোষণের দানবে রূপান্তরিত হয়? যখন পুঁজির মালিক তথা পুঁজিনির্ভর ব্যবসার মালিক অল্প সংখ্যক লোক হয়ে যায়। পুঁজির মালিক আর ব্যবসার মালিক অনেকটা সমার্থক। যিনি পুঁজিপতি, তিনিই ব্যবসায়ী। একচেটিয়া ব্যবসা, যাকে অর্থশাস্ত্র মনোপলি বলে, সেটির উত্থান ঘটে পুঁজির একচেটিয়া মালিকানা থেকে।

সরকার একচেটিয়া ব্যবসায় বাধা দেয় এজন্যই যে, এতে সাধারণ জনগণ যারা পুঁজির মালিক হতে পারেনি, তারা শোষিত হয়। এজন্যই নির্বাচনের সময় সব দেশের রাজনৈতিক নেতারা সম্পদের বণ্টন, মালিকানার ধরন, ট্যাক্স পলিসি, জব ক্রিয়েশন, সুবিধাবঞ্চিত লোকদের জন্য কী করা হবে— এ নিয়ে জনগণের কাছে হাজির হয়। ট্যাক্স পলিসি ও সম্পদের কেন্দ্রীভূত হওয়া— এ দুই বিষয়ে রাজনৈতিক ময়দানের প্রার্থীদের মধ্যে বড় রকমের লড়াই হয়, তবে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য হয় সামান্যই।

সম্পদের বণ্টনের বিষয়টি নির্ভর করে মালিকানার ধরনের উপর। উত্পাদনের অন্য তিনটি উপকরণ যদি কিছু লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়, তাহলে সম্পদও কিছু লোকের মালিকানায় চলে যাবে। বাজার অর্থনীতি যাতে পুঁজিবাদে রূপান্তরিত না হয় সেজন্য সরকার আইন করে জনগণকে ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিকানা দেয়ার ব্যবস্থা করে।

একদিকে আয় ও ব্যয় করার স্বাধীনতা যেমন নিশ্চিত করা হয়, অন্যদিকে মালিকানার বিস্তৃতির মাধ্যমে অধিক সংখ্যক লোকের হাতে যাতে ব্যবসায়িক আয় প্রবাহিত হয়, তা নিশ্চিত করা হয়। এ লক্ষ্যেই সরকার বিভিন্ন রেগুলেটরি কমিশন স্থাপন করে।

কমিশনগুলোর কাজই হচ্ছে বাজার তদারক করা, যাতে করে বাজারের দুর্বল এজেন্টগুলো শোষিত না হয়। সম্পদ বণ্টন অথবা আয় অধিক লোকের হাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে শেয়ারবাজার ভালো মাধ্যম। মুক্ত অর্থনীতি, ভালো শেয়ারবাজার অর্থনীতিকে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়।

ওই ধরনের অর্থনীতিতে ব্যবসা স্থাপনের জন্য পুঁজির সংকট হয় না। স্থাপিত ব্যবসা যেমন শেয়ারবাজারের মাধ্যমে হাজারো লোকের কাছে বিক্রি করে দেয়া যায়, তেমনি নতুন ব্যবসা স্থাপনের জন্য শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করা যায়। অন্য অনেক দেশ শুধু তাদের জনগণকে মালিকানা দেয়ার জন্যই দেশের ও বিদেশের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে আসতে বাধ্য করেছে।

বাংলাদেশ হলো ব্যতিক্রমের একটি। এ দেশের সরকারের আমলা-মন্ত্রীরা বিদেশী সাহায্যের জন্য যত মেধা ও শ্রম ব্যয় করেন, তার ১ শতাংশও ব্যয় করেন না তাদের দেশে বড় বড় ব্যবসা করছে এমন বিদেশী কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে।

তারা শুধু ভালো ট্যাক্স পেয়েই এক্ষেত্রে খুশি। কিন্তু বিদেশী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে শেয়ারবাজারে এলে এই দেশের মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তের হাজারো লোক যে ওইসব কোম্পানির শেয়ার ধারণ থেকে উপকার পেতে পারে, সে ধরনের চিন্তা করার মতো সময় আমাদের পলিসিমেকারদের আছে বলে মনে হয় না।

আজকে আপনি যেকোনো বড় বিদেশী কোম্পানির সিইওকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনার কোম্পানি ভারতসহ অন্য দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারলে এ দেশে কেন হচ্ছে না? তাদের সোজাসাপ্টা উত্তর, তোমরা কি কখনো বলেছ যে, তোমাদের শেয়ারবাজারে আসতে হবে? তোমরা বলোনি বলে আমরা তোমাদের লোকদের আমাদের ইকুইটি তথা ব্যবসার মালিক বানাতে চাইনি।

বলো, কোনো দিন কোনো বড় ব্যবসা সেধে তোমাদের মালিকানা দেবে? সত্যিই তো তাই। যেখানে আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় চুপ, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক চুপ, যেখানে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ চুপ, সেখানে আমার মতো লোক কালেভদ্রে দু-একটি নিবন্ধ লিখে বা অসহায় বিনিয়োগকারীদের কাছে এ ব্যাপারে লেকচার দিয়ে কী লাভ হবে? যাদের হাতে মুগুর আছে, তারাই কেবল এ ব্যাপারে বললে কাজ হবে।

শেয়ারহোল্ডারদের রাইটস বা অধিকারের কথায় আসি। বইতে অনেক অধিকার তাদেরকে দেয়া আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাদেরকে কোনো অধিকারই দেয়া হয় না, বা তারাও কোনো অধিকার ভোগ করতে চায় না। পরের সংজ্ঞাটিই আমাদেরকে বেশি পীড়া দেয়। শেয়ার ধারণ করে অথচ কোম্পানির ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনোই খবর রাখে না, এমনকি কোম্পানির ডাকা অ্যানুয়াল মিটিংয়েও তারা যায় না।

অথচ আজকের বাস্তবতা হলো গুটিকয়েক অতি সাধারণ নিরীহ শেয়ারহোল্ডার মিটিংগুলোয় যায়। আর বাকিরা থাকে কোম্পানি ম্যানেজমেন্টের লোক। কোম্পানির এজেন্ডা পাস হতে লাগে মাত্র ২০-৩০ মিনিট। কোম্পানিও শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতি অতটা কামনা করে না।

তারা মিটিং করে, কারণ রেগুলেটরের নির্দেশ মানতে হয়। কোম্পানি অ্যাক্টে লেখা আছে, এজিএম নামের বার্ষিক শেয়ারহোল্ডারদের মিটিং করতে হবে। আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের নির্লিপ্ততার সুযোগে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ক্ষেত্রবিশেষে পুকুর চুরি করছে; কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের কোনো খবর নেই।

মিটিংয়ে গিয়ে একটা ফাইট করতে হবে— সে বিষয়ই যেন শেয়ারহোল্ডাররা ভুলে গেছেন। অথচ বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে আমরা কত যুদ্ধ, কত তর্ক, কত বিতর্ক দেখি, যেগুলোর পেছনে আর্থিকভাবে লাভ-লোকসানের কোনো বালাই নেই। তারা কোম্পানির ব্যবসায় অর্থ দিয়ে বছরে একটি দিন, একটি ঘণ্টা দিয়ে কোম্পানি ব্যবসা নিয়ে বক্তব্য দেয়ার গরজ যেন এ শেয়ারহোল্ডারদের নেই।

ছোটদের কথা বাদই দিলাম, বড় যারা শেয়ারহোল্ডার, সেই মিউচুয়াল ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজাররা তো গিয়ে কোম্পানির স্থিতিপত্র ও আয়-ব্যয় হিসাবের ওপর চুলচেরা বিশ্লেষণমূলক বক্তব্য দিতে পারেন।

কিন্তু সত্য হলো, তারাও অনুপস্থিত থাকেন এজিএমে। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে শেয়ারহোল্ডারস অ্যাক্টিভিজম বলতে যা বোঝায়, তার কোনো উপস্থিতি নেই। এমন অবস্থা আগে ছিল না, পুরো নব্বইয়ের দশকই আমাদের মতো অনেক শেয়ারহোল্ডার কোম্পানি আহূত মিটিংগুলোয় যেতাম।

এবং কোম্পানির ব্যবসার ভবিষ্যত্, বর্তমান অবস্থা, ম্যানেজমেন্টের মান— এসব বিষয় বুঝতে চেষ্টা করতাম। এজিএম থেকে প্রাপ্ত এবং ধারণাগতভাবে অর্জিত তথ্যগুলো কাজে লাগাতাম কোনো কোম্পানির শেয়ার নতুন করে কিনব নাকি পুরনোগুলো বিক্রয় করে দেব।

আমাদের অনেকে হতাশ হতো কোম্পানির অ্যানুয়াল রিপোর্ট পড়ে। অনেক কোম্পানিই অনেক বেশি জানান দিতে চায় তাদের শেয়ারহোল্ডারদেরকে। আমাদের স্টক এক্সচেঞ্জে একমাত্র যে মোবাইল কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত আছে, সেটির গত বছরের অ্যানুয়াল রিপোর্ট পড়ে আমি এত বেশি খুশি হয়েছি যে, অনেক তথ্য জানতে পারলাম, যেগুলো এই কোম্পানির ব্যবসা সম্পর্কে আগে জানতাম না।

আমি কোনো ক্লাসরুমে উপস্থিত হয়ে অ্যাকাউন্টিং নামের বিজ্ঞানটি পড়িনি। যতটা অ্যাকাউন্টিং ও অডিট রিপোর্ট সম্পর্কে জেনেছি, তা কোম্পানির অ্যানুয়াল রিপোর্টস পড়তে গিয়ে। শুধু অ্যানুয়াল রিপোর্টে দেয়া তথ্য-উপাত্তগুলো বোঝার জন্য পরে বিজনেস অ্যাকাউন্টের ওপর কিছু বই পড়ে নিয়েছি।

এতে কাজ চালানোর মতো আমার জ্ঞান হয়ে গেছে। আসলে বাংলাদেশে অডিটররা যদি সদ্ভাবে তাদের কাজগুলো করত, তাহলে শেয়ারহোল্ডারদের অনেক অধিকারই রক্ষিত হতো। সমস্যাটা বেশি তৈরি হয় অবিশ্বাস থেকে। অনেক উদ্যোক্তাই শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি ন্যায় আচরণ করেনি।

তারা যখন আইপিও বিক্রয় করে শেয়ারবাজারে এসেছে, তখন তাদের শেয়ার ধারণ ছিল ইকুইটি ক্যাপিটালের ৭০ শতাংশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, মাত্র দু-তিন বছরের মধ্যে তাদের শেয়ার ধারণ নেমে এসেছে ৩০-৩৫ শতাংশে। তারা উচ্চমূল্যে বাদবাকি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

আমরা অনেক অনুরোধ করেছি, উদ্যোক্তাদের শেয়ার ধারণের ওপর কমপক্ষে তিন বছরের জন্য লক- ইন দিতে। কিন্তু বিএসইসি তা করেনি। তারা যে কয়েক মাসের জন্য লক-ইন দিয়েছে, সেটির মেয়াদ শুরু হবে আইপিও বিক্রির জন্য প্রসপেক্টাস ছাপানোর পর থেকে।

ফলে বিএসইসির লক-ইন সম্পর্কে রেগুলেশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। উচিত ছিল, সময়টা গুনতে হবে যেদিন থেকে কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড হবে। আমার জানামতে, উদ্যোক্তা শেয়ার বেচতে চাইলে নোটিস দিতে হবে। কিছু উদ্যোক্তা সে ব্যাপারেও পরোয়া করছেন না।

অন্য ফাঁকটা হলো, উদ্যোক্তা মহোদয় তার শেয়ারগুলো স্টক এক্সচেঞ্জের বাইরে বউ- ছেলে-মেয়েদের নামে গিফট বা দান হিসেবে ট্রান্সফার করে নেন। পরে ছেলে-মেয়েদের মাধ্যমে বিনা নোটিসে সেসব শেয়ার বিক্রি করে দেন।

সম্প্রতি ভারতের রেগুলেটর এসইবিআই একটি আদেশ জারি করেছে যে, গিফট বা অন্য কোনোভাবে তৃতীয় কোনো নামে উদ্যোক্তা যদি শেয়ার হস্তান্তর করেন, সেসব শেয়ার যারা ওইভাবে পেয়েছেন, সেগুলো বেচতেও স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নোটিস দিতে হবে। আমাদের

বিএসইসি কি সেই কাজ বা অনুরূপ একটি নির্দেশনা জারি করবে?
 

কিছু উদ্যোক্তা এক অজানা উদ্দেশ্য থেকে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে অন্য একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে একীভূত করার প্রোগ্রাম নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু এক্ষেত্রে কে রক্ষা করবে শেয়ার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ? বিএসইসি কঠোর হলে এ ধরনের ফাঁদ থেকে বিনিয়োগকারী রক্ষা পাবে।

* আঠার বছর বয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক নিজ নামে নতুন প্রজন্ম সমবায় সমিতি লি: এর শেয়ার হোল্ডার হতে পারবেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক গণও পিতা/মাতা অভিভাবকগণের নামে শেয়ার হোল্ডার হতে পারবে । শেয়ার হোল্ডারদের সঞ্চিত টাকা শুধুমাত্র শেয়ার হোল্ডারকে অথবা শেয়ার হোল্ডারের মৃত্যুর পর তার মনোনীত জীবিত ব্যাক্তিকে প্রদান করা হবে। অন্যথা শরীয়রাহ মোতাবেক প্রদান করা হবে।   
 
* নতুন প্রজন্ম সমবায় সমিতি লি: এর শেয়ার হোল্ডার হতে হলে ভর্তি ফি ১০০০ বাংলা টাকা অথবা সমপরিমাণ ইউ.এ.ই ৫০ দিরহামস প্রদান সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। যে কোন ব্যাক্তি এককালীন নিম্নে ২৫,০০০ বাংলা টাকা জমা দিয়ে এককালীন শেয়ার হোল্ডার হতে পারবেন। কোন ব্যাক্তি ইচ্ছা করলে একাধিক শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন।

* নতুন প্রজন্ম সমবায় সমিতি লি: যেহেতু সুদ ভিত্তিক ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, তাই শেয়ার হোল্ডারদের ক্ষতির ঝুঁকি ও বহন করতে হবে। যে কোন শেয়ার হোল্ডার তার শেয়ার প্রত্যাহার করতে চাইলে ১ (এক) মাস পূর্বে সভাপতি/সেক্রেটারী বরাবর লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।

 * কোন শেয়ার হোল্ডার ইচ্ছা করলে নিজ শেয়ার অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেন তবে সমিতির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে, পরিচালনা কমিটির অজান্তে কোন শেয়ার হোল্ডার যদি তার শেয়ার অন্যত্র বিক্রি করে তাহলে সেটা অবৈধ বলে গণ্য হবে। 

* শেয়ার হোল্ডারদেরকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শেয়ার সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। কোন মেম্বার যদি শেয়ার হোল্ডার হবার প্রথম দুই বৎসর পূর্তির পূর্বেই তার টাকা উত্তোলন করেন তাহলে তিনি কোন লভ্যাংশ পাবেন না, যেহেতু আপনার জমাকৃত অর্থ কোন সুদ বা মুনাফার সাথে সংলিষ্ট নয়।

* নতুন প্রজন্ম সমবায় সমিতি লি: কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় যে কোন নিয়মাবলী সংশোধন পরিবর্তন ও বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে এবং শেয়ার হোল্ডারগণ উহা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
 
দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘দৈনিক আস্থার’ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।

‘দৈনিক আস্থা’ পাঠক সমাজে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘দৈনিক আস্থা’ নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ।

***আবেদন পাঠাতে আপনাকে যা করতে হবেঃ

• ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত পাঠাতে হবে আমাদের ই-মেইলে। ই-মেইল: [email protected]

• সিভি অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত মেইল থেকে পাঠাতে হবে। কারণ যে মেইল থেকে সিভি পাঠাবেন
পত্রিকা থেকে সেই মেইলেই রিপ্লাই দেয়া হবে।

• ই-মেইল পাঠাতে বিষয় বস্তু অর্থাৎ Subject–এ লিখতে হবে কোন জেলা/উপজেলা/ ক্যাম্পাস
প্রতিনিধি।

• আবেদনকারীকে স্নাতকোত্তর হতে হবে। তবে অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে তা শিথীলযোগ্য।

• পরিশ্রমী, মেধাবী এবং আগ্রহী অভিজ্ঞ, যেকোন মুহুর্তে কাজের চাপ নিতে প্রস্তুত/নতুনদের অগ্রাধিকার
দেয়া হবে।

• নিউজের পাশাপাশি প্রতিনিধিদের পত্রিকার আয়ের একমাত্র উৎস বিজ্ঞাপন সংগ্রহে মনোযোগী হতে
হবে।

• প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা/উপজেলা/ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের নিয়মিত সম্মানী বাবদ
প্রতিনিধিদের নিজের পাঠানো বিজ্ঞাপনের আয়ের ৫০% মাসিক বেতন আকারে দেয়া হবে।

• নিজেদের প্রকাশিত নিউজ অবশ্যই নিজের ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে, একই সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক
মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

• অবশ্যই অফিস থেকে দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।

• নিউজের ছবি এবং নিউজের সঙ্গে ভিডিও পাঠাতে হবে।

• চূড়ান্ত নিয়োগের পর আইডি কার্ড প্রদান করা হবে।

• একাধিক অনলাইন পত্রিকায় কাজ করা যাবে না।

• প্রতিনিধি নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘দৈনিক আস্থা’ কোন গ্রুপ কোম্পানির অর্থ বা কোন স্পন্সরের অর্থ দ্বারা পরিচালিত নয়। নিজস্ব আয়ে পত্রিকা পরিচালিত হয়। ‘দৈনিক আস্থা’ নিজের পত্রিকা ভাবতে পারলেই আবেদন করবেন। বিস্তাতির জানতে পত্রিকা ভিজিট করুন।

ভবিষ্যতে ‘দৈনিক আস্থা’ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার মন মানসিকতা থাকতে হবে।

যোগাযোগঃ
ইফতেখার আহমেদ,
প্রধান সম্পাদক।
আমিনুল ইসলাম রোমান,
বার্তা সম্পাদক।
আতিকুর রহমান আতিক
মফস্বল সম্পাদক।
বার্তা বিভাগ: ইস্টার্ন প্লাস কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স (৯ম তলা), ১৪৫, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
ফোন : +৮৮০২৫৮৩১৪২৯৩। মোবাইল : +৮৮০১৭৯৭৫১৫৮৯৩।
মফস্বল বিভাগ: +৮৮০১৭১৭০৮৯৪৯৭ | বিজ্ঞাপন বিভাগ: +৮৮০১৯৩২০৯৪১৬২

আরও পড়ুন

×