কোভিড-১৯ প্রভাব : সংকটে দেশের মধ্যবিত্ত

প্রকাশিত: 02/07/2020

নিজস্ব প্রতিবেদন :

কোভিড-১৯ প্রভাব : সংকটে দেশের মধ্যবিত্ত

বিভিন্ন সংস্থার তথ্যমতে, দেশে আয় কমেছে ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষের।কমেছে ভোগ ও বিনিয়োগ দুটিই।এতে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে দেশের মধ্যবিত্ত।

এই শ্রেণির অনেকেই চাকরিচ্যুত হয়েছেন অথবা কমিয়ে দেয়া হয়েছে বেতন। অন্যান্য উৎস থেকেও কমে গেছে আয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংসারের খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্যদিকে নিম্ন আয়ের লোকজন সরকার ও বিত্তবানদের কাছ থেকে নানা ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছেন এবং এখনও তা অব্যাহত আছে।

কিন্তু মধ্যবিত্তের পক্ষে সেটা নেয়া যেমন সম্ভব নয়, তেমনি তাদের সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে কার্যকর অর্থে কোনো পক্ষই এগিয়েও আসছে না। বাধ্য হয়েই তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাচ্ছেন।

রাষ্ট্রীয়ভাবে মধ্যবিত্তদের সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, যাদের দৈনিক আয় ১০ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে, দেশে তারাই মধ্যবিত্ত।

এ হিসাবে মধ্যবিত্তদের মাসিক আয় ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে। তবে এটি শুধু বেতনের মাধ্যমে আয় হতে হবে, এমন নয়। যে কোনোভাবে আয় করে যারা এ ধরনের একটি সামাজিক মর্যাদা তৈরি করেছেন, তারাই মধ্যবিত্ত।

এই মুহূর্তে মধ্যবিত্ত গভীর সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে দেশে মধ্যম আয়ের লোকের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। এর মধ্যে ঢাকা শহরে আছে প্রায় ৮০ লাখ।

এরা নিজেদের আয় দৈনন্দিন খরচসহ সন্তানদের পড়াশোনা, ভ্রমণ, বিনোদন, চিকিৎসাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচগুলো মিটিয়ে কিছু সঞ্চয়ও করতে পারে। এদের একটি বড় অংশ ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আরকেটি অংশ চাকরিজীবী।

এদিকে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাবে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষ। আয় কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের।

সম্প্রতি ব্র্যাকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার প্রভাবে ৩৬ শতাংশ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। তিন শতাংশের চাকরি থাকলেও বেতন পান না। এদের বড় অংশই মধ্যবিত্ত।

আরও পড়ুন

×