”করোনা ভাইরাস বনাম বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ”

প্রকাশিত: 10/07/2020

মো. জামাল হোসেন

”করোনা ভাইরাস বনাম বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ”

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে অজানা কারণে নিইমোনিয়ায় আক্রান্ত হওযার নিশ্চিত হন ওর্য়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, যা পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত হয়।

এর পর থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সক্রমনের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে। ২২ শে জানুয়ারী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি ও চিনফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে।

১ ফেব্রুয়ারী চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ৩১৬ জন যাত্রী নিয়ে ফেরেন। তাদের সবাই কে হজ্জ্ব ক্যাম্পে ১৪ দিন রাখেন। তাদের কেউ আক্রান্ত বা মারা যওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

১৭ই মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুভাবের কারণে বাংলাদেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ষাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার।

সাধারণ ছুটি ঘোষণা পর থেকেই লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে অভিভাবক গণ তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে। সকল প্রকার প্রাইভেট কোচিং বন্ধ হয়ে যায়।

২২শে মার্চে করোণা ভাইরাসের প্রাদুভার্ব ঠেকাতে এইচসি ও সমমানের পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ শে মার্চ করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের সরকার ৭০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। স্কুল, কলেজ বন্ধ রেখে কিভাবে কমল মতি শিক্ষার্থেিদর পাঠদান করা যায় তা বাংলাদেশ সরকার ভাবতে থাকে।

ভাবনার ফলে বেরিয়ে আসল যে অনলাইন, ফেসবুক লাইভ ও জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ক্লাস ন্ধেসঢ়;ওয়ার কথা । এতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী কিছুটা উপকৃত হলেও অধিকাংশ বঞ্চিত হয় যারা গ্রামে থাকে তারা কারণ গ্রামে নেটওয়ার্ক সমস্যা, অনেকের এানড্রইড সেট নাই।

ফলে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া বিষয়ে আকৃষ্ট করতে পারেনি। সরকার সেপ্টেস্বর মাসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা ভাবনা করে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে দিয়ে স্বল্প পরিসরে পাঠদান করে পরীক্ষা ন্ধেসঢ়;ওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে থমকে গেছে।

অনেকে লোকের প্রাণ হানি ঘটেছে। অনেক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকে মানবেতর জীবন করছে। কবে করোনাভাইরাস দুর হবে কেই বলতে পারেনা। অর্থনৈতিক ভাবে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন

×