২০২০ থার্টি-ফাস্টে দেহের দুরত্ব 

প্রকাশিত: 01/01/2021

শামীম আহমদ

২০২০ থার্টি-ফাস্টে দেহের দুরত্ব 

পহেলা জানুয়ারিকেই বছরের প্রথমদিন বলে মেনে নিতে হয়। তাহলে এই দিনে দেহের প্রদর্শনী কেন? রবীন্দ্রনাথের বইতে পড়ছি- "নারী সহজেই দেহকে অনাবৃত করতে পারে, কিন্তু হৃদয়ের আবরণ খসাতে সবসময়ই ব্যর্থ"। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করেন। ১ জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হয়।

সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে নওরোজের প্রবর্তন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়। ইরান হতেই এটা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালিত হচ্ছে। এই রাতে আনন্দ উল্লাস উপভোগ করার জন্য মধ্যরাত থেকে শুরু হয় আতশবাজীও পটকাবাজী। যা জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণের জন্য কষ্টদায়ক হয়।

সামাজিক দূরত্ব স্থাপন বা শারীরিক দূরত্ব স্থাপন সংক্রামক রোগ বিস্তার প্রতিরোধের জন্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের একগুচ্ছ ঔষধবিহীন পদক্ষেপ। সামাজিক দূরত্ব এবং কোভিড ১৯ ফ্যাক্ট। সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের উদ্দেশ্য হল সংক্রামক রোগ বহনকারী ব্যক্তির মাধ্যমে সংস্পর্শ এড়ানোর সম্ভাবনা কমানো। একইসাথে আক্রান্ত ব্যক্তি যেন অপরের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তথা রোগ সংবহন কমানো এবং সর্বোপরি মৃত্যুহার কমানো। সংক্রমণের তীক্ষ্ণ শীর্ষ এড়ানো, তথা সংক্রমণ রেখাচিত্র সমতল করা স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাকে প্লাবিত করেনা।

সামাজিক দূরত্ব স্থাপন সবচেয়ে কার্যকর তখন হয়, যখন সংক্রমণ ছড়ায়। অতিক্ষুদ্র ফোঁটা (হাঁচি-কাশির), যৌন সংস্পর্শসহ প্রত্যক্ষ দৈহিক সংস্পর্শ, পরোক্ষ দৈহিক সংস্পর্শ (সংক্রমণী বস্তু রয়েছে এমনরূপে দূষিত স্থান স্পর্শ) এবং বায়ুবাহিত সংবহনের মাধ্যমে (যদি জীবাণু বায়ুতে দীর্ঘসময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে)। সামাজিক দূরত্ব স্থাপন সেই সকল ক্ষেত্রে খুব একটা কাজ করেনা যখন সংক্রমণ ছড়ায় দূষিত পানি বা খাদ্যের মাধ্যমে কিংবা বাহক যেমন মশা বা অন্য কীটের মাধ্যমে এবং কদাচিৎ মানুষ থেকে মানুষের মাধ্যমে। সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের খারাপ দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে একাকিত্ব, হ্রাসকৃত সৃজনশীলতা এবং মানব মিথস্ক্রিয়ার সাথে যুক্ত সুফলের ব্যত্যয়। ঐতিহাসিকভাবে লেপার কলোনি এবং ল্যাজারেত্তো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লেপ্রোসি এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ ছড়ানো এড়াতে সামাজিক দূরত্ব স্থাপন করার উদ্দেশ্যে।

সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) "রোগের সঞ্চালন ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য মানুষের মধ্যকার সংস্পর্শের ঘটনা কমানোর পদ্ধতি"কে সামাজিক দূরত্ব স্থাপন হিসেবে বর্ণনা করেছে। ২০১৯-২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর সময় সমাবেশজনিত ঘটনা পরিহার, গণসমাগম এড়ানো, এবং প্রায় ৬ ফুট বা ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে ডব্লিউএইচও সামাজিক দূরত্ব স্থাপনকে "অন্যের থেকে এক হাত পরিমাণ দূরে থাকা [এবং] সমাবেশ হ্রাস করা" হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

এর পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রীয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, হাত ধোয়া বৈশ্বিক মহামারী এড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে মনে করা হয়। রোগবিস্তার বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হল সাধারণ পুনঃসৃষ্টি সংখ্যা যা কিনা একটি জনগোষ্ঠীর সকলেই যখন কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমান সম্ভাবনা ধারণ করে, তখন প্রাথমিক আক্রান্ত ব্যক্তিদ্বারা দ্বিতীয় কাউকে আক্রান্ত করার গড় সংখ্যা। যদি জনসংখ্যার ২৫% সাধারণ সময়ের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ ৫০% কমিয়ে দেয়, তাহলে সাধারণ সময়ের চেয়ে পুনঃসৃষ্টি সংখ্যা প্রায় ৮১% হ্রাস পাবে। আপাতদৃষ্টিতে এই সংখ্যার খানিকটা হ্রাস ঘটলেও তা রোগের সূচকীয় বিস্তারে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করে।

নেতিবাচক প্রভাবঃ সামাজিক দূরত্বে স্থাপিত ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হয়। মনোস্তাত্ত্বিক চাপ, উৎকণ্ঠা, ডিপ্রেশন বা আতঙ্ক ইত্যাদি তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যাদের মধ্যে উৎকণ্ঠামূলক মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা, ওসিডি এবং প্যারানয়া বিদ্যমান। বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়ে বহুল প্রচারণা, অর্থনীতিতে এর প্রভাব এবং এর ফলাফলে সৃষ্ট অস্বচ্ছলতা উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের ব্যত্যয় এবং অনিশ্চয়তা অন্যদের থেকে দূরে থাকা মিলিয়ে মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

আল্লাহ বলেন: যা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্টদেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। সূরা আহযাব–৫৮, সহীহ বুখারী–২৯০৫) অর্থ অপচয়: এ রাতকে কেন্দ্র করে অনেক অর্থ অনৈসলামিক ও হারাম কাজে ব্যায় করা হয়। যা অপচয় ও অপব্যায়ের শামিল। আর ইসলাম অপব্যাকারীকে শয়তানের ভাই হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। সূরা বানী ইসরাঈল ২৬–২৭) যুবক-যুবতীর অবাধ মেলামেশা: এ রাত্রিতে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, কমিউনিট সেন্টার, সমুদ্র সৈকত, নাইট ক্লাব গুলোতে যুবক-যুবতীরা অবাধে মেলামেলা ও অপকর্মে লিপ্ত হয়। অথচ ইসলাম ইহাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসূল (সা) বলেছেন: অবশ্যই কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হলে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান।

(তিরমিযি, মিশকাত- সহীহ) নেশাদ্রব্য সেবন: এ রাতে উশৃংখল যুবক-যুতীরা মদ ও নেশা দ্রব্য পান করে মাতাল হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম ঘটায়। আর একারণেই ইসলাম সমুদয় নেশাদ্রব্যকে হারাম করেছে। (সূরা মায়েদা-৯০-৯১ ও সূরা নিসা-১৪, সহীহ মুসলিম ২য় খন্ড, ৯৬৭ পৃষ্ঠা) বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য: থার্টি ফাস্ট নাইট ডে উদযাপন সম্পূর্ণরূপে বিধর্মী অপসংস্কৃতি। এ রাত্রিতে আতশবাজী, পটকাবাজী, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, ট্যাটো বা উল্কা অংকন, ডিজে ও কনসার্ট, নেশা সেবন সহ বিধমীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরণের অনৈসলামিক ও অপসংস্কৃতিক কার্যাবলী চর্চা করা হয়। আর ইসলাম বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য রাখাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।

কাজী নজরুল ইসলাম বলে গিয়েছেন, দুনিয়ার সব থেকে বড় হেয়ালি হলো মেয়েদের মন। এদেশের জাতীয় কবি তিনি, কত কত বিখ্যাত কবিতার রচয়িতা। অথচ নারীর মন নামক রহস্যময় বস্তুটি তিনিও চিনতে পারেননি। বিজ্ঞজনেরা বলে থাকেন, নারীর মন কখন কী চায় তা সে নিজেও ঠিক জানে না! মেয়েদের সম্পর্কে আরেকটি প্রচলিত ধারণা আছে যে তারা কোনোকিছুই গোপন রাখতে পারে না। অর্থাৎ তাদেরকে একটি কথা গোপন রাখতে বললে তারা আরো দশজনকে সেটি বলে দেবে। অন্যের কথা গোপন রাখতে পারুক বা না পারুক নিজের কিছু বিষয় তারা ঠিকই গোপন রাখতে জানে! যদিও সেসব বিষয় গোপন না রাখলেও খুব একটা ক্ষতির কারণ নেই, তবু কোনো এক রহস্যময় কারণে কিছু বিষয় গোপন রাখা তাদের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য!

সাধারণত কোনো মানুষ প্রথমবার প্রেমে পড়ে তার কৈশোরেই। কারণ এই সময়টাতে সে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা পায়, নতুন নতুন কৌতুহল জন্মায়। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতিও স্বভাবজাত আকর্ষণটাও তাই এই সময়টাতেই জন্মায়। কিন্তু প্রথমবার প্রেমে পড়ার কথা ছেলেরা যতটা অকপটে স্বীকার করে, মেয়েরা তা কখনোই করে না! "নারী কভু নাহি চায় একা হতে কারো এরা দেবী, এরা লোভী যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো ইহাদের অতিলোভী মন একজনে তৃপ্ত নয় এক পেয়ে সুখী নয় যাচে বহুজন" বলছেন কাজী নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলছেন- স্ত্রীলোকদিগের উপর যেমন কঠিন শাসন, পুরুষের উপর তেমন কিছু নেই। কথায় কিছু হয় না, ভ্রষ্ট পুরুষের কোন সামাজিক দণ্ড নেই। একজন স্ত্রী সতীত্ব সম্বন্ধে কোন দোষ করিলে সে আর মুখ দেখাইতে পারে না।

বিধাতার তৈরি আমাদের এই দেহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনার শেষ নেই। মাঝে মাঝে আপনি চিন্তা করলেও খুব অবাক হবেন যে রক্ত মাংসে গড়া আমাদের এই দেহ জুড়ে ছড়িয়ে আছে এমন সব তথ্য যার বিষয়ে শুনলে আমরা অবাক না হয়ে পারিনা। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন মানবদেহ নিয়ে এবং একেক সময় বেরিয়ে আসছে অজানা সব তথ্য যা পুরো বিশ্বকেই অবাক করে দেয়।

মানবদেহ নিয়ে যেমন জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই তেমনি এই দেহ নিয়ে তথ্যেরও শেষ নেই। দেহ নিয়ে আমি যা বহুবার শুনেছি; যেমন- মানব দেহে রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বেঁচে থাকে। একজন মানুষের দেহের রক্তের পরিমাণ তার দেহের মোট ওজনের ১৩ ভাগের ১ ভাগ। দেহে ও মনে যখন অনুভূতি আসে তখন তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে। দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে। যখন মানুষ কোন কারণে লজ্জা পায় তখন দেহের পাকস্থলীও লজ্জা পায়।

একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে। কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়। একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি। একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে। একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট। একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ। মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব। মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়। একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত কণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে। আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে। মানুষের মস্তিষ্ক প্রতি মিনিটে ১,০০০ শব্দ পর্যন্ত পড়তে পারেন।

ফ্রিডরিখ মাক্স মুলার বলছেন- "আসলে বেদের যে দেবতাতত্ত্ব তাকে বহু ঈশ্বরবাদ হিসেবে আখ্যায়িত না করে বরং এক পরম সত্ত্বায় বহু দেবতার মিলনস্থল বলাই উত্তম"। তার মতে প্রাচীনতম ধর্ম হিসেবে হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের দেব-দেবীর উপর বিশ্বাসের পাশাপাশি খাঁটি একেশ্বরবাদী ধ্যান-ধারণাও বিদ্যমান রয়েছে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে যেহেতু বেশীরভাগ হিন্দু জনগোষ্ঠীই দেবতাদের পূজা করে থাকেন তাই বাহ্যিক দৃষ্টিকোণে অন্যান্য ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনেকেরই ধারণা যে হিন্দু ধর্ম হয়তোবা এটি বহু ঈশ্বরবাদী ধর্ম।

এ প্রসঙ্গে মাক্স মুলার এই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। ফ্রিডরিখ মাক্স মুলার ছিলেন বিখ্যাত ভারতবিশারদ, দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, সমাজতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক, সংস্কৃত ভাষায় সুপ্রসিদ্ধ জার্মান পণ্ডিত ও অনুবাদক। রুশ দার্শনিক আফ্রিকান আলেকসান্দ্রোভিচ স্পিরের ডেংকেন উন্ট ভির্কলিশকাইট ("চিন্তা ও বাস্তবতা") শিরোনামের লেখা তাকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছিল।

লেখক- শামীম আহমদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন

×