দেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যাবহার সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ সমূহ

দেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যাবহার সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ সমূহ

ফেসবুকের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা ও উদ্ভটতম পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং

দেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যাবহার সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ সমূহ

 

ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটে এমন বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা ও উদ্ভটতম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও নিজেদের রক্ষার্থে আমাদের দেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট সচেতন ও সাবধান হতে হবে

এবং একই সাথে আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যাবহার সুনিশ্চিত করতে যথাযত পদক্ষেপ নিতে হবে। ফেসবুক শুধু বিশ্বব্যাপি পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবেই গড়ে উঠেনি,

এটির ব্যাবহার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সাথে মিলেমিশে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। ফেসবুকের চমৎকার সব সুবিধা ও সহজলভ্যতার কারনে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বেশিরভাগ ব্যাবসায়ীক সংস্থা তাদের প্রচারণা,

বিক্রয়, সদস্য সংগ্রহের কাজ গুলো এই ফেসবুকের মাধ্যমে করে নিচ্ছেন। বর্তমান সময়ের আলোকে আমরা দেখতে পাই, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ফেসবুকের আলাদা আলাদা

গ্রুপ করে শ্রেণি কক্ষের সকল তথ্য ও পাঠ সেখানে পোস্ট করা হই যাতে করে সবাই সকল তথ্য ও পাঠ সহজেই পেতে পারেন। একই সাথে এই গ্রুপগুলোতে সবাই সবার সাথে পরিচিত

ও যে কোন বিষয়ে পরামর্শ আদান-প্রদান করে থাকেন। এই ধরনের পদক্ষেপ গুলো আমরা পজিটিভলি নিতে পারি। কিন্তু আমরা কি এটা ভেবেছি যে, কখনো যদি ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায় আমাদের সকল তথ্য ও পদ্ধতির কি হবে?

তাই আমি মনে করি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের নিজ নিজ অনলাইন ওয়েবসাইট করে সেখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ফেসিলিটি ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফোরাম, বিষয় ভিত্তিক পাঠ ও তথ্য আদান-প্রদান পদ্ধতি চালু

করতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে, সেই সাথে আমাদের নিজেদের তথ্য প্রযুক্তির খাত, চিন্তা ভাবনার উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিফলন ঘটবে। এই ধারাবাহিকতার মাধ্যমে আমাদের দেশের সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান,

ক্লাব, সংগঠনগুলো ডিজিটালাইজড হবে এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা যাবে। আমরা ইদানিং দেখছি, ফেসবুকের অনেক পজিটিভ ও ভালো দিক থাকলেও

এর সমস্যা ও কুফল দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন চক্রান্তকারী ও অপরাধ চক্র ফেসবুক থেকে ব্যবহারকারীর অনেক তথ্য, ছবি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস সহ যোগাযোগের অনেক তথ্য সহজেই পেতে পারে

এবং কোন কোন সময় প্রযুক্তির ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারীকে ব্লেকমেইল করে কঠিন বিপদে ফেলে দিতে পারে। ফেসবুক ব্যবহারে বেশি আশক্ত হবার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ

কাজের উপর মনোযোগের অভাব দেখা দেয় ও সময়ের যথাযথ ব্যবহার করার সম্ভাবনা কমে যায় এবং একই সাথে চিন্তাভাবনার মধ্যে অনেক নৈতিক পরিবর্তন ঘটতে পারে।

ফেসবুকের প্রোফাইল ও পেজে একান্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক, দৈনন্দিন কাজকর্ম ইত্যাদি সম্পর্কে পোস্ট দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। ফেসবুকের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই পারিবারিক লোকজন,

আত্তীয়সজন, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির বন্ধু, অফিস বা ব্যবসায়ীক সহকর্মীদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু করার আগে ভালো মতো জেনে নেওয়া উচিৎ এবং যতটা সম্ভব ফেসবুকের

ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারলে ভালো এবং একই সাথে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ইমেইল, স্কাইপ, সংবাদপত্র ইত্যাদি ব্যবহারে মনোযোগী হতে পারলে ভালো।

আরও পড়ুন

×