দিল্লির খোলা মাঠ ও পার্কিং লটে অস্থায়ী শ্মশান

প্রকাশিত: 28/04/2021

ডে-নাইট ডেস্ক :

দিল্লির খোলা মাঠ ও পার্কিং লটে অস্থায়ী শ্মশান

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষের মৃত্যুতে ভারতের রাজধানী দিল্লি এখন এক আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

গত সোমবার দিল্লিতে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৮০ জন। শহরের হাসপাতালগুলোতে জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইসিইউ বেড খালি নেই। চরম সংকট চলছে অক্সিজেন ও প্রাণরক্ষাকারী ওষুধের। 

রাজধানী দিল্লির অবস্থা এতটাই খারাপ যে খোলা মাঠ, পার্ক এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাতেও অস্থায়ী শ্মশান নির্মাণ করা হচ্ছে। কারণ যেসব সরকারি শ্মশান দিল্লিতে রয়েছে, তারা আর চাপ নিতে পারছে না।

সরকার করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভারত এবং ভারতের বাইরে নির্ভরযোগ্য বহু পত্রপত্রিকায় মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার কথা প্রমাণসহ প্রকাশ করা হচ্ছে।

গুজরাটের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক সন্দেস পত্রিকা তাদের সংবাদদাতাদের রাজ্যের বিভিন্ন শ্মশান এবং গোরস্তানে পাঠিয়ে দেখেছে, সরকার মৃত্যুর যে সংখ্যা দিচ্ছে প্রকৃত মৃত্যু তার কয়েকগুণ বেশি। পত্রিকাটি লিখছে গুজরাটে প্রতিদিন গড়ে ৬১০ জন মারা যাচ্ছে। একই অভিযোগ আসছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির বেলাতেও। 

অনেক শহরে শ্মশানগুলো চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্মশানকর্মীদের দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে।  দাহ করার জন্য কাঠের জোগাড়, সেগুলো সাজানোর ভার মৃতের স্বজনদের ঘাড়ে এসে পড়ছে।

দিল্লির সারাই কালে খান শ্মশানের ভেতর খালি জায়গায় গত কদিনে নতুন ২৭টি দাহ করার বেদি তৈরি করা হয়েছে।  শ্মশানটির লাগোয়া পার্কে আর ৮০টি বেদি তৈরি হয়েছে। যমুনা নদীর তীরঘেঁষা এলাকাগুলোতে অস্থায়ী শ্মশান তৈরির জন্য জায়গা খুঁজছে দিল্লি পৌর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

×