সিলেটের বিশ্বনাথে ঈদ পরবর্তী লকডাউনের দ্বিতীয়দিন ঢিলেঢালা ভাবে পার!

সিলেটের বিশ্বনাথে ঈদ পরবর্তী লকডাউনের দ্বিতীয়দিন ঢিলেঢালা ভাবে পার!

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী ঈদ পরবর্তী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

শুক্রবার ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের গতকাল ছিলো প্রথম দিন। যার ফলে গতকাল থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনসমাগম, গণ পরিবহণ বন্ধ, নিত্য পণ্যের দোকানপাট ব্যতীত সকল কিছু বন্ধ থাকার কথা থাকলেও লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন (আজ শনিবার) ২৪ জুলাই বিশ্বনাথের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তার ভিন্ন চিত্র।

সরকারি ঘোষণায় লকডাউন থাকলেও তা মানছেন না কেউ। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাবেই চলছে ঈদ পরবর্তী দ্বিতীয় দিনের লকডাউন। কারো মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। লকডাউনের বিধি নিষেধ সম্পর্কে নেই কারো ধারণা। এমনকি সড়কে অবাধে চলাচল করছে সিএনজি অটোরিকশা-মাইক্রোবাস।

এদিকে দ্বিতীয় দিনেও বিশ্বনাথ থানার পুলিশের একাধিক টিম মাঠে থাকলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছিল না। ছিল না মুখে মাস্কও। অনেকে চায়ের দোকানগুলোতে দিয়েছেন আড্ডা।

তাছাড়া, সিএনজি চালিত অটোরিকশা সড়কে চলাচল বন্ধ করার কথা থাকলেও অবাধে চার পাঁচজন যাত্রি নিয়ে চলতে দেখা যায়। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।

অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার সেই সুযোগে সড়কজুড়ে বিকল্প পরিবহনের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। সবমিলিয়ে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন অনেকটাই বলতে গেলে স্বাভাবিক ই ছিল ।

উল্লেখ্য: প্রতিদিনই কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ড ভাঙছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। গেল ফেব্রুয়ারিতে দুই শতাংশের ঘরে থাকা সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে তা ছাড়িয়ে গেছে ২৩ শতাংশের উপরে। করোনার ধাক্কায় যখন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ার উপক্রম তখন বছর ঘুরে আবারো লকডাউনে বাংলাদেশ। গেল দু সপ্তাহ লকডাউন শেষ হতে না হতেই পবিত্র ঈদুল আযহার পরই ফের লকডাউনে গোটা দেশ।

উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াসউদ্দিন সহ ৪নং ওয়ার্ডে একাধিক ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে উক্ত ওয়ার্ডে গত সপ্তাহে দুইজন মহিলা মৃত্যুবরণ করেছেন। 

আরও পড়ুন

×